টিভিতে তামিল ছবি দেখতে না দেয়ায় স্ত্রীকে হত্যা, আদালতে স্বামীর স্বীকারোক্তি

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের কেশবপুরে টেলিভিশনে তামিল সিনেমা দেখতে না দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বৃষ্টি খাতুনকে গলা কেটে হত্যা করে স্বামী সাইফুল ইসলাম মনা। যশোর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এ কথা বলেছেন।

আটক সাইফুল ইসলাম মনা সরদার কেশবপুর উপজেলার পাঁচ বাকাবর্শি গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে। বিচারক মামুনুর রহমান জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

জবানবন্দিতে সাইফুল ইসলাম উল্লেখ করেন, দুই বছর আগে একই উপজেলার চিংড়া বাজারের রফিকুল ইসলামের মেয়ে বৃষ্টি খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। বাড়িতে কেউ না থাকায় মেজ ভাইয়ের ঘরে বসে বুধবার রাত ১১টার দিকে সাইফুল ও তার স্ত্রী বৃষ্টি খাতুন টেলিভিশন দেখছিলেন। ওই সময় সাইফুল তামিল ছবি দেখতে চান। তখন তার স্ত্রী অন্য চ্যানেলে সিরিয়াল দেখবেন বলে জানান। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় বৃষ্টি তার স্বামী সাইফুলকে গালি দেন। এরপর টেলিভিশনের রিমোট বৃষ্টির কাছে দিয়ে সাইফুল ঘরের বাইরে চলে যান।

এরপর তিনি বারান্দায় একঘণ্টা বসে থাকার পর ঘরে গিয়ে দেখেন স্ত্রী বৃষ্টি টেলিভিশন চালিয়ে রেখে ঘুমিয়ে পড়েছেন। তখন তিনি বৃষ্টির বুকের ওপর বসে বাম হাতে মুখ চেপে ধরে ডান হাতে থাকা দা দিয়ে গলায় কেটে হত্যা করেন। এরপর বাড়ির পাশে আজিজুর রহমানের পুকুরে দা ফেলে দিয়ে চিৎকার করে কান্নাকাটি করেন। তখন আশপাশের লোকজন এলে সাইফুল বলেন বৃষ্টির সাথে অন্য পুরুষের সম্পর্ক ছিল। তারা ছয়-সাতজন এসে তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

এই ঘটনায় বৃষ্টির পিতা বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। রাতেই পুলিশ সাইফুলকে আটক করে। এরপর শুক্রবার বিকেলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন