Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শুক্রবার । ২৫শে জুলাই, ২০২৫ । ১০ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে ভারতীয় ট্রাক চালকরা

শাহ জালাল সম্রাট, শার্শা

বেনাপোল বন্দরের বিভিন্ন সমস্যা যেমন, জায়গা সংকট, আমদানি পণ্য খালাসে জটিলতাসহ নানা অভিযোগে ভারতীয় ট্রাক চালকরা আমদানিকৃত পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে আসবেনা বলে হুমকি দিয়ে ধর্মঘটের ডাক দেয়। তবে তাদের ডাকা ধর্মঘট তারা নিজেরাই প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল।

গত দু’দিন আগে ভারতীয় ট্রাক চালকরা ঘোষণা দেন ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বেনাপোল বন্দরে তারা পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখবে। জানা যায়, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকট ও পণ্য ওঠা-নামার জন্য যে ক্রেন, ফর্কলিফট ব্যবহার করা হয়। সেগুলোর বেশিরভাগই যন্ত্র নষ্ট থাকায় অকেজো হয়ে পড়ে আছে। ফলে পণ্য ওঠা-নামায় অনেক সমস্যা এবং অতিরিক্ত সময় লাগছে। এতে ভারতীয় ট্রাক চালকদের বন্দরে পণ্য খালাসের জন্য দীর্ঘ সময় বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

ভারতীয় ট্রাক চালকরা জানান, বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ার কারণে তাদের দীর্ঘ সময় পণ্য খালাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যার কারণে শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটের ডাক দেন। তবে খুব দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষের এমন আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যবাসীরা জানান, ভারতীয়রা বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে এপথে বাণিজ্য বন্ধের যে হুমকি দিয়েছেন, সেটার যৌক্তিকতা আছে। উন্নয়ন নিয়ে বেনাপোল বন্দরের কোনো মাথা ব্যথা নেই।

তারা আরও জানান, বেনাপোল বন্দরের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ৪০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু এখানে সব সময় পণ্য থাকে প্রায় দুই লাখ মেট্রিক টনের মতো। অবহেলা অযত্নে খোলা আকাশের নিচে দিনের পর দিন এসব পণ্য কাদা, পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে থাকে । বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি জানানো হলেও তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ভারতীয় ট্রাক চালকরা বন্দরের অব্যবস্থাপনার অভিযোগ এনে এ পথে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন। তবে খুব দ্রুত এ বন্দরের সমস্যা সমাধান হবে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকদের। ফলে তারা এ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

আব্দুল জলিল বলেন, এরই মধ্যে বন্দরের বেশ কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন করা হয়েছে এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন জায়গা অধিগ্রহণ, পণ্যাগার বাড়ানো, চুরি রোধে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা ও বন্দরের চারপাশে প্রাচীর নির্মাণেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা অচিরেই বাস্তবায়ন হবে।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন