Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার এড়াতে বিষপানে আত্মহত্যা

গেজেট ডেস্ক

বিষপানে চুয়াডাঙ্গার সদরের এক কীটনাশক ব্যবসায়ী আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, বাড়িতে ভেজাল সার মজুদ এবং বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি এই পথ বেছে নেন।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে রোববার রাত ১১টার দিকে রবিউল ইসলাম নামে ওই কীটনাশক বিক্রেতার মৃত্যু হয়। ওই দিন বিকেলেই নিজ বাড়িতে বিষপান করেন তিনি।

রবিউল ও তার ছেলে নয়ন আলী ভেজাল সার ও কীটনাশক বিক্রি করছেন, রোববার সকালে ৯৯৯ ফোন দিয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানান এক কৃষক।

এরপর রবিউল ও নয়নদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এ সময় এক লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর পালিয়ে যান নয়নের বাবা রবিউল।

বাবা-ছেলের ভেজাল সার-কীটনাশকের ব্যবসার খবরে এলাকার অনেক কৃষক বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এর মধ্যেই আসে পলাতক রবিউলের আত্মহত্যার খবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন।

তিনি জানান, রোববার ভোরে নয়ন ঝিনাইদহের শৈলকূপা থেকে সরকারি বস্তায় করে ৭৩ বস্তা ভেজাল টিএসপি সার বিক্রির জন্য বাড়িতে নিয়ে আসেন। বিএডিসির লোগো থাকা বস্তাগুলোও নকল। নয়ন গোয়াল ঘরে সারের বস্তাগুলো রাখার সময় দেখতে পেয়ে জরুরি পরিষেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান এক কৃষক।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ভেজাল সারের বস্তাগুলো জব্দ করে। বিকেলে ভেজাল সার মজুদ ও বিক্রির অপরাধে নয়নকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নয়নকে গ্রেপ্তার করা হয়। আর এ সময় পালিয়ে যান রবিউল।

স্থানীয়রা জানান, বাবা-ছেলে দু’জন মিলে স্যার ও কীটনাশক ব্যবসা করতেন। ভেজাল সারের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে রবিউলের উপর ক্ষুব্ধ হন এলাকাবাসী। পরে সম্মান বাঁচাতে ও গ্রেপ্তার এড়াতে রবিউল বিষপান করেন।

বিষপানের পর রবিউলকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান।

ওসি আরও জানান, ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন