বাগেরহাটের রামপালে ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী র্যাগিংয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গত বুধবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০টায় ওই ছাত্রী (১৬) উপজেলার বাইনতলা কাশিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। স্কুল শেষে বিকেল ৪টার দিকে সে বাথরুমে প্রবেশ করলে একই শ্রেণির তিন ছাত্রী পরিকল্পিতভাবে ভেতরে ঢুকে তার মুখ ও গলা চেপে ধরে হত্যার চেষ্টা করে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের মা রেক্সনা বেগমের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটে। এতে ভুক্তভোগী ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় এবং অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাগেরহাট ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার করা হয়। অভিযোগে ঘটনাটিকে পূর্বপরিকল্পিত ও শত্রুতামূলক বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত এক ছাত্রীর পিতা সেকেন্দর আলী ডাকুয়া জানান, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না, তবে পুলিশ এসেছিল।” অপর ছাত্রীর পিতা জিয়া মোল্লা দাবি করেন, “আমার মেয়ে খুবই নরম স্বভাবের, সে এ ধরনের কাজে জড়িত নয়।” আরেক অভিযুক্ত ছাত্রীর পিতা মোল্লা আ. হাইয়ের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বেল্লাল হোসেন মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে গুরুত্বের সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিজ তামান্না ফেরদৌসি জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “এমন ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক, এটি র্যাগিংয়ের শামিল। আগামী ২০ আগস্ট বুধবার উভয় পক্ষকে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে।”
খুলনা গেজেট/এসএস