২০ হাজার সাপ বাঁচিয়ে বনে ফিরিয়ে দিয়েছেন শামছু তালুকদার

শরণখোলা প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ৩ নম্বর রায়েন্দা ইউনিয়নের চাল রায়েন্দা গ্রামের মো. শামছু তালুকদার একজন অভিজ্ঞ সাপুড়ে। তিনি দাবি করেছেন, জীবনের দীর্ঘ সময়ে অন্তত ২০ হাজার সাপ ধরে আবার বনে ছেড়ে দিয়েছেন। বিষধর সাপ লোকালয় বা বসতবাড়িতে ঢুকে পড়লে ফোন পেয়ে কিংবা ডাক পেলেই তিনি দ্রুত পৌঁছে যান। দক্ষতা ও কৌশলে সাপকে ক্ষতি না করে নিয়ন্ত্রণে আনাই তার বিশেষত্ব।

শামছু তালুকদার জানান, ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডরের আগ থেকেই তিনি এ কাজে যুক্ত। সাপ ধরার কৌশল শিখেছেন ঢাকায় ও ভারতের কলকাতায়। তার হাতের ওপরের চামড়া কেটে বিশেষ এক ঔষধি গাছের ডাল প্রতিস্থাপন করেছেন, যেখানে রয়েছে আটটি সেলাই। সাপ ধরার আগে একটি প্রচলিত মন্ত্র উচ্চারণ করেন এবং বুকে সাতবার ফুঁ দেন। তার বিশ্বাস- মন্ত্র ও গাছের ডালের শক্তিতেই সাপকে সহজে বশে আনা সম্ভব।

পেশাটি জীবিকা হলেও তার নির্দিষ্ট কোন আয় নেই। তিনি বলেন, ‘মানুষের বাসায় গিয়ে সাপ ধরলে যা দেয়, তাই গ্রহণ করি।’ একমাত্র সন্তানকে মাদ্রাসায় পড়িয়েছেন, বর্তমানে তার ছেলে ঢাকায় শিক্ষকতা করেন।

পরিবেশ রক্ষায় সাপ না মারার আহ্বান জানিয়ে শামছু তালুকদার বলেন, ‘সাপ নিরীহ প্রাণী, জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাদের ভূমিকা অনেক। মৃত সাপ বাতাসে পড়ে থাকলে দুর্গন্ধে মানুষের অ্যাজমার সমস্যা হতে পারে। তাই সাপ দেখলেই মেরে ফেলার বদলে বনে ছেড়ে দেওয়া উচিত।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন