গরিবের হক কেড়ে খাওয়ার দিন কি শেষ হবে না? — এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে বাগেরহাটের ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। সেবার নামে হয়রানি আর অনিয়ম যেন হয়ে উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের নিত্যদিনের চিত্র।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুহাম্মাদ এহসানুল হাসানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের দাবি, পরিষদে সাধারণ সেবা পেতে গেলেই বিভিন্ন অজুহাতে অর্থ দাবি করেন এই কর্মকর্তা। টাকা না দিলে দিনের পর দিন নানান অজুহাতে হয়রানি করেন।
ভুক্তভোগী আফরোজা বেগম বলেন, আমার দুলাভাই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। তার মৃত্যু সনদ নিতে গেলে এহসান সাহেব ১০০ টাকা দাবি করেন। ভাগ্নের জন্মনিবন্ধনের জন্য আরও ১০০ টাকা দাবি করেন। পরে জানতে পারি এই সেবাগুলো সরকারি নির্দেশনায় বিনামূল্যে পাওয়ার কথা রয়েছে। টাকা ফেরত চাইলে তিনি প্রথমে আমাকে রুম থেকে বের করে দেন। পরে ঘটনা জানাজানি হলে টাকা ফেরত দেন।
তিনি আরও বলেন, এটা শুধু টাকার বিষয় নয়, এটা একজন নাগরিকের ন্যায্য অধিকার। আমি চাই, আর কেউ যেন এমন হয়রানির শিকার না হন কেউই।
একই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন হামিম হোসেন নামের এক যুবক। তিনি জানান, জন্মনিবন্ধন করতে গিয়ে কয়েকদিন ঘোরানোর পর টাকা দিতে হয়। কিন্তু পরে দেখি, জন্মনিবন্ধনে আমার বাবাকে মৃত দেখানো হয়েছে— যদিও তিনি জীবিত। এটা অবহেলা নয়, এটি অপরাধ।
এসকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এহসানুল হাসান বলেন, কাজ করতে গিয়ে ভুল হতেই পারে। আমি ভুল করে টাকা নিয়েছিলাম, পরে তা ফেরত দিয়েছি।
তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমনা আইরিন। তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এএজে