ফরাসি ক্লাব অক্সেরের মাঠে ১৯৯৫ সালে উয়েফা কাপের ম্যাচ জিতেছিল ইংলিশ লিগের দল নটিংহ্যাম ফরেস্ট। কে জানত ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় প্রতিপক্ষের মাঠ বা অ্যাওয়ে ম্যাচে আরেকটি জয় পেতে তাদের তিন দশক অপেক্ষা করতে হবে। অবশেষে তাদের সেই জয়খরা কেটেছে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ইগর জেসুসের গোলে নেদারল্যান্ডসের ক্লাব উট্রেখটের মাঠে তাদেরই ২-১ ব্যবধানে হারাল ফরেস্ট।
ইউরোপা লিগের ম্যাচটিতে বদলি হিসেবে মাঠে নামার মাত্র ৮২ সেকেন্ড পরই গোল করেছেন জেসুস। এরপর তার চিরচেনা সেই উদযাপন। সামনের দিকে দু’হাত তুলে ধরে জোড়বদ্ধ করে উল্লাস। ছোটবেলা থেকেই ‘ড্রাগন বল জেড’-এর ভক্ত নটিংহ্যাম ফরেস্টের এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোল করার পর জেসুস জাপানি এই অ্যাডভেঞ্চার সিরিজের নায়ক গোকুর শক্তিশালী এনার্জি ব্লাস্টের ভঙ্গিটি অনুকরণ করে আনন্দ প্রকাশ করেন।
৮৮ মিনিটে ইগর জেসুসের করা গোলটিই মূলত ফরেস্টের জয় নিশ্চিত করে। এর আগপর্যন্ত উট্রেখটের সঙ্গে তারা ১-১ সমতায় ছিল। গত গ্রীষ্মে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগো থেকে নটিংহ্যাম ফরেস্টে যোগ দেওয়ার পর এটি ইউরোপে তার চতুর্থ গোল এবং সবমিলিয়ে সপ্তম। ম্যাচ জয়ের নায়ক ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার জানান, মাঠে নেমে এক মিনিটের মধ্যেই গোল করতে পেরে খুব ভালো লাগছে, বেঞ্চে বসে সবসময়ই ভাবছিলাম, সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেব। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।’
ইগর জেসুসের পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু হয় ৫ বছর আগে। ১৮ বছর বয়সে তিনি ২৪ ম্যাচে ৩ গোল করে কোরিতিবা ক্লাবকে সেরি-বি থেকে সেরি-আ তে উন্নীত করতে ভূমিকা রাখেন। সর্বোচ্চ ওই প্রতিযোগিতায় শুরুতে সংগ্রাম করছিলেন জেসুস, সে কারণে মৌসুমের মাঝপথে যোগ দেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্লাব শাবাব আল-আহলিতে। ২০২৪ সালে বোটাফোগোতে ফিরে জ্বলে ওঠেন জেসুস। তার নেতৃত্বে ক্লাবটি সেরি-আ এবং কোপা লিবার্তাদোরেস– দুটি শিরোপাই জিতে নেয়। যা তাকে অপরাপর ক্লাবের নজরে নিয়ে আসে।
গত বছরের অক্টোবরে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল জেসুসের। যেখানে চিলির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে তিনি একটি গোলও করেন। তার প্রশংসা করেছেন ফরেস্টের কোচ শন ডাইচও, ‘সমর্থকরা উপস্থিতি ছিল দারুণ, তার জন্য আমি ভীষণ খুশি। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও আমি খুব সন্তুষ্ট, বিশেষ করে যেভাবে আমরা দল ঘুরিয়ে খেলাচ্ছি এবং ফলাফল পাচ্ছি। এই ধারা চলমান থাকুক।’
খুলনা গেজেট/এনএম

