সোমবার । ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

ভারতকে হারিয়ে প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে পরপর তিনবার হারিয়ে হ্যাটট্রিক করেছিল ভারত। এবার দোহায় রাইজিং স্টার এশিয়া কাপে প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তানের যুবারা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর মুখোমুখি লড়াইয়ে হেরে গেল ভারত। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল ভারত ‘এ’ দল। জবাব মাজ সাদাকাতের ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান শাহিন্স বা ‘এ’ দল (asia cup india vs pakistan cricket match)।

কাতারের দোহায় টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল ভারত। উবেদ শাহের প্রথম বলেই চার মেরে শুরুটা ভালো করেছিলেন বৈভব সূর্যবংশী। পরের ওভারে শাহিদ আজিজকে একটি চার এবং একটি ছয় মারেন। ভালো শুরু পেয়ে যায় ভারত। এরপরই শুরু হয় উইকেট হারানোর পালা। চতুর্থ ওভারে শহিদ তুলে নেন ওপেনার প্রিয়াংশ আর্যকে (১০)।

প্রথম ম্যাচে বৈভব যেমন খেলেছিলেন, তার ধারেকাছেও যেতে পারলেন না এদিন। বরং কিছুটা ধীরগতিতেই খেলছিলেন। এদিনের পিচও ছিল মন্থর গতির। বল পড়ে ব্যাটে ভালোভাবে আসছিল না। ফলে বড় শট খেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তবু বৈভব চেষ্টা করছিল বড় শট খেলার। সুফিয়ান মুকিম দশম ওভারে তুলে নেন ভারতের ওপেনারকে। মুকিম খেলেছিলেন এশিয়া কাপেও। তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভারতকে বড় ধাক্কা দেয় পাকিস্তান। পাঁচটি চার এবং তিনটি ছয়ের সাহায্যে ২৮ বলে ৪৫ করে সাজঘরে ফেরেন বৈভব।

বৈভবের আগেই আউট হয়ে যান নমন ধীরও। তিনি ছ’টি চার এবং একটি ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ৩৫ রান করেন। বৈভব ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ইনিংস। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। পরের দিকে নেমে হর্ষ দুবে (১৯) কিছুটা চেষ্টা করলেও ভারত বড় রান করতে পারেনি। ১৯ ওভারের মধ্যে ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারতের যুবারা।

এই রান পাকিস্তানের জন্য তোলা কঠিন ছিল না। তা ছাড়া দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা আরও সহজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় ওভারেই ১৪ রান দেন যশ ঠাকুর। পঞ্চম ওভারে গুরজপনীত সিংহ ১৮ রান দেন। পাকিস্তানের বোলাররা যেখানে নিয়ন্ত্রিত বল করছিলেন, সেখানে ভারতের বোলারদের লাইন-লেংথের কোনো ঠিক ছিল না।

পাকিস্তানের অর্ধশতরানকারী ব্যাটার মাজ সাদাকাতের ক্যাচ দু’বার পড়েছে। এক বার ০ রানে, এক বার ৫৩ রানে। শেষ ক্যাচটি খুবই সহজ ছিল, যা ফেলে দেয় বৈভব। তবে দশম ওভারে যে বিতর্ক হয়েছে তা ছাপিয়ে গিয়েছে বাকি সব কিছুকেই। সেই সাদাকাতই ম্যাচ জিতিয়ে দেন। সাতটি চার এবং চারটি ছয়ের সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ভারতের হয়ে একটি করে উইকেট যশ এবং সুযশের।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন