শনিবার । ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২

তৃতীয় দিনেই রেকর্ড জয়ের সুবাস

ক্রীড়া প্রতিবেদক

ইনিংস এবং অন্তত ১০০ রানে টেস্ট জয়ের তিনটি কীর্তি রয়েছে বাংলাদেশের। সিলেট টেস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষে ওমন আরেকটি বড় জয়ের সুবাদ পাচ্ছেন নাজমুল শান্তরা। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে আইরিশরা। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস থেকে এখনো ২১৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা।

দ্বিতীয় ইনিংসে আয়ারল্যান্ড শুরুতে উইকেট হারায়। অধিনায়ক আন্দ্রে বালবির্নির ইনজুরিতে ওপেনিংয়ে নেমে কেদে কারমাইকেল ৫ রান করে দলীয় ১৪ রানে ফিরে যান। দ্বিতীয় উইকেটে পল র্স্টালিং ও হ্যারি টেক্টরের ৪৭ রানের জুটি ভাঙতেই বিপর্যয়ে পড়ে আইরিশরা। র্স্টালিং ৪৩ করে রান আউটে কাটা পড়েন। টেক্টর ১৮ রান করেন। ব্যর্থ হন কার্টুস ক্যাম্পার (৯) ও আন্দ্রে বালব্রিনি (৪)।

ছয়শ’ ছোঁয়া রান বাংলাদেশের: সিলেটে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ ১৪১ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে ৫৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে। টেস্টে যা বাংলাদেশের এক ইনিংসে তৃতীয় সর্বাধিক রান। এর আগে ২০১৩ সালে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩৮ রান করেছিল বাংলাদেশ। ওয়েলিংটনে ২০১৭ সালে ৮ উইকেটে ৫৯৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেছিল টাইগাররা।

দুই সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটির ইনিংসেও আক্ষেপ: সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের দুই ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল শান্ত সেঞ্চুরি পেয়েছেন। জয় দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের সেরা ১৭১ রান করেছেন। ১৪টি চার ও চারটি ছক্কা মারেন তিনি। অধিনায়ক নাজমুল শান্তর অষ্টম টেস্ট সেঞ্চুরির ইনিংস থামে ১০০ রানে। তার ওয়ানডে গতির ১১৪ বলের ইনিংসে ১৪টি চার ছিল।

এছাড়া তিন ব্যাটার সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও লিটন দাস ফিফটি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের দিন কাটানোর পরও আছে আক্ষেপ। বাংলাদেশ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৮৫ ওভারে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান তুলে। জয় ১৬৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। ডাবল সেঞ্চুরির আশা দিচ্ছিলেন। ৮০ রান করা মুমিনুল হকও ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরির পথে ছিলেন। কিন্তু দু’জনই তৃতীয় দিন সকালে দুই রান করে যোগ করে ফিরে যান। তার আগে প্রথম দিন আউট হওয়া ওপেনার সাদমান ৮০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। লিটন দাস ৬৬ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলেছেন।

সিলেট টেস্টে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে ১৬৮ রানের জুটি পায়। জয় ও মুমিনুলের দ্বিতীয় উইকেট জুটি দাঁড়ায় ১৭৩ রানের। এছাড়া শান্ত ও লিটন দাসের ৯৮ রানের জুটি হয়।

আইরিশদের প্রথম ইনিংস: সিলেট টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। সেখান থেকে পল র্স্টালিং ও কেডে কারমাইকেলের ব্যাটে দারুণ প্রথম সেশন কাটায়। দ্বিতীয় সেশনে র্স্টালিং ৬০ রান করে ফিরে যান। কেডে কারমাইকেল ৫৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। কার্টুস ক্যাম্পার ৪৪ ও লরকান টাকার ৪১ রান করে আউট হন। লোয়ারে জর্ডান নেইল ৩০ ও বেরি ম্যাককার্টি ৩১ রান করে আউট হয়ে যান।

স্পিনারদের দাপট: আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের ৭টিই নিয়েছেন মিরাজ-তাইজুলরা। মেহেদী মিরাজ ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। হাসান মুরাদ ও তাইজুল ইসলাম যথাক্রমে ৪৭ ও ৭৮ রান দিয়ে নেন ২টি করে উইকেট। পেসার হাসান মাহমুদ নেন ২ উইকেট। বাংলাদেশের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে বাঁ-হাতি আইরিশ স্পিনার ম্যাথু হামফ্রাইস ১৭০ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে হাসান মাহমুদ জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন। একটি করে উিইকেট নিয়েছেন নাহিদ ও তাইজুল।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন