সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ ৮৫ ওভার ব্যাটিং করে ১ উইকেটে ৩৩৮ রান করেছিল। মাহমুদুল হাসান জয় ১৬৯ রানে অপরাজিত থেকে ডাবল সেঞ্চুরির আশা দিচ্ছিলেন। ৮০ রান করা মুমিনুল হক সেঞ্চুরির আশা দিচ্ছিলেন। কিন্তু তৃতীয় দিন সকালেই দু’জনের আশাভঙ্গ হয়েছে। দু’জনই দুই রান করে যোগ করে সাজঘরে ফিরেছে। পরে নাজমুল শান্তর সেঞ্চুরিতে পাঁচশ রান ছাড়িয়েছে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৪৫ রানে ব্যাট করছে। লিড দাঁড়িয়েছে ২৫৯ রান। ক্রিজে থাকা অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ১০০ রানে খেলছেন। তার সঙ্গী মিরাজ।
এর আগে ওপেনার সাদমান ১০৪ বল খেলে ৮০ রান করে আউট হয়ে যান। জযের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস থামে ১৭১ রানে। তিনি ১৪টি চার ও চারটি ছক্কার শট তোলেন। ১৪তম টেস্ট সেঞ্চুরি মিস করা মুমিনুল হক ৮২ রান করে ফিরে যান। তার ব্যাট থেকে পাঁচটি চারের সঙ্গে দুটি ছক্কা আসে। পরে মুশফিক ২৩ এবং লিটন দাস ৬০ রান করে ফিরেছেন। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে ১৬৮ রান পায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটি দাঁড়ায় ১৭৩ রানের।
অলআউট আইরিশরা: সিলেট টেস্টে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে পল র্স্টালিং ও কেডে কারমাইকেলের ব্যাটে দারুণ প্রথম সেশন কাটায়। দ্বিতীয় সেশনে র্স্টালিং ৬০ রান করে ফিরে যান। কেডে কারমাইকেল ৫৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এছাড়া কার্টুস ক্যাম্পার ৪৪ ও লরকান টাকার ৪১ রান করে আউট হন। লোয়ারের দৃঢ়তায় আইরিশরা তিনশ’র আশা দিচ্ছিল। কিন্তু জর্ডান নেইল ৩০ ও বেরি ম্যাককার্টি ৩১ রান করে আউট হয়ে যান। সকালে হাসান মাহমুদ ও তাইজুল উইকেট নিয়ে ৯২.২ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট করে তাদের।
স্পিনারদের উইকেট ভাগাভাগি: আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ১০ উইকেটের ৭ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশের তিন স্পিনার। এর মধ্যে মেহেদী মিরাজ ৫০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। হাসান মুরাদ ও তাইজুল ইসলাম যথাক্রমে ৪৭ ও ৭৮ রান দিয়ে নেন ২টি করে উইকেট। পেসার হাসান মাহমুদ ২টি এবং নাহিদ রানা ১ উইকেট নিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম

