যেন প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের অ্যাকশন রিপ্লে। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতা। দুই-তিন ব্যাটারের ছোট ছোট রান। তারপরও দুইশ’ রানের আগে অলআউটের শঙ্কা। সেখান থেকে রিশাদ হোসেনের ক্যামিও ইনিংস। যে ইনিংসে ভর করে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ২০৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৭ উইকেটে আসল ২১৩ রান।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) মিরপুর স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারকে রেখে একে একে সাজঘরে ফিরে যান চার ব্যাটার।
তারা হলেন- সাইফ হাসান (৬), তাওহীদ হৃদয় (১২), নাজমুল শান্ত (১৫) ও মাহিদুল অঙ্কন (১৭)। ২৮ ওভারে ৯৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ বিপদেই পড়ে।
দলকে তখনও ভরসা দিচ্ছিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। কিন্তু তিনিও ফিফটি মিস করে সাজঘরে ফিরে যান। তিনি ৮৯ বলে ৪৫ রান করেন। তিন চার ও একটি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশ ১০৩ রানে পঞ্চম ও ১২৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায়। সেখান থেকে দুইশ’ ছাড়ানো পুঁজি এনে দেন মিরাজ-নুরুল হাসান ও রিশাদ।
এর মধ্যে আটে ব্যাটিংয়ে নেমে সোহান ২৪ বলে ২৩ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন। দুটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। নাসুম তার আগে ২৬ বলে ১৪ রান করে ফিরে যান। মিরাজ ৫৮ বলে ৩২ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। ম্যাচের সেরা ক্যামিও দেখানো রিশাদ ১৪ বলে ৩৯ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা মারেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে রাতেই উড়ে এসে বল হাতে জুড়ে বসেন আকিল হোসেন। তিনি ওপেনিংয়ে বল হাতে নেন। ১০ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। আলিস আথানজে ওপেনার। পার্ট টাইম স্পিন করেন। তিনিই ১০ ওভার হাত ঘুরিয়েছেন। ৫০ বল ডট দিয়ে মাত্র ১৪ রান ২ উইকেট নিয়েছেন। ওই হিসেবে নিয়মিত স্পিনার গুড়াকেশ মোতি ও খেরি পেরি খারাপ বোলিং করেছেন। মোতি ৩ উইকেট পেলেও ১০ ওভারে ৬৩ রান খেয়েছেন। পেরি ১০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ৫০ ওভারই স্পিন বোলিং করিয়েছে। ম্যাচে তারা কোন পেসারই রাখেননি। ওয়ানডে ইতিহাসে এবারই প্রথম ৫০ ওভার স্পিন বোলিং দেখা গেল। এর আগে শ্রীলঙ্কা ১৯৯৬, ১৯৯৮ ও ২০০৪ সালে যথাক্রমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৪ ওভার স্পিন বোলিং করিয়েছিল। সাম্প্রতিক সময়ে এসে ২০২৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ওমান ৪৩.৪ ওভার স্পিন দিয়ে পার করেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পূর্বে কখনো ৩৫ ওভারের বেশি স্পিনার দিয়ে বোলিং করায়নি।
খুলনা গেজেট/এএজে

