আফগানদের হারিয়ে লঙ্কানরা যে শুধু সুপার ফোরে উঠেছে তাই নয়, সঙ্গে বাংলাদেশকেও এনে দেয় পরবর্তী ধাপে খেলার সুযোগ। ওই ম্যাচে একদিনের জন্য বন্ধু হয়ে যায় বাংলাদেশ। প্রথম ধাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হারলেও সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে কুশল মেন্ডিস-নিসাঙ্কাদের ৪ উইকেটে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধ নিল টাইগাররা। সাইফ-হৃদয়ের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দ্রুতই জয়ের দিকে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ৬ উইকেট হারিয়ে এক বল হাতে রেখেই জয় মেলে লিটনদের।
শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক লিটন দাস। আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে শ্রীলঙ্কা। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রানের সংগ্রহ করে লঙ্কানরা।
১৬৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারে তামিমের উইকেট হারালেও সাইফ হাসানের ব্যাটে দ্রুতই ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। চাপ সামলে নেন সাইফ হাসান এবং লিটন দাস। তবে দলীয় ৬০ রানে লিটন ফিরে যান ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। এরপর সাইফ একাই চার ছক্কার ইনিংস খেলতে থাকেন, তাকে সঙ্গ দেন তাওহীদ হৃদয়। একসময় সাইফ তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক। তখন ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা ছোটাচ্ছিলেন হৃদয়। এরপর ৪৫ বলে ৬১ রান করে বিদায় নেন সাইফ।
দুর্দান্ত ফিফটির পর সাইফ ফিরলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে রাখেন তাওহীদ হৃদয়। চামিরার বলে এলবিডব্লিউ—এর ফাঁদে পড়ে হৃদয় বিদায় নেয়। এরপর শুরু হয় নাটকীয়তা।
৬ বলে জিততে দরকার স্রেফ ৫ রান। দাসুন শানাকার করা প্রথম বলটাই শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে চার হাঁকালেন জাকের আলী। সমীকরণ সোজা, ৫ বলে ১! কিন্তু নাটক যে তখনো বাকি! শানাকার পরের ৩ বলে কোনো রান তুলতে পারল না বাংলাদেশ। উল্টো উইকেট হারাল দুটি—জাকের ও শেখ মেহেদী। তবে পঞ্চম বলে আর বিপদ হতে দিলেন না নাসুম। এক রান নিয়ে দলকে জয়ের আনন্দে ভাসান নাসুম আহমেদ। ১ বল বাকি থাকতেই এনে দিলেন ৪ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়। শেষ পর্যন্ত ৪ উইকেটে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সুপার ফোরে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এমএম