মেসির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারল না কেউ

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্বের শেষ রাউন্ডে হেরেছে আর্জেন্টিনা ব্রাজিল। ইকুয়েডরের কাছে হারলেও বাছাই পর্ব শীর্ষে থেকেই শেষ করেছে আলবিসেলেস্তেরা। অন্যদিকে ব্রাজিলকে হারিয়ে দিয়েছে বলিভিয়া। এই হারে বাছাই পর্ব পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করেছে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বাছাই পর্বে আর্জেন্টিনার শেষ ম্যাচটি খেলেননি লিওনেল মেসি। তবে না খেললেও মেসিকে পেছনে ফেলতে পারেননি কেউই।

২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো। বাছাই পর্বের শেষ রাউন্ডের শেষে এসে চমক দেখিয়েছে বলিভিয়া। শেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে সপ্তম হয়েছে তারা। ফলে জায়গা করে নিয়েছে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। ১৯৯৪ সালে শেষবার বিশ্বকাপ খেলা বলিভিয়া আবার বিশ্বকাপ খেলার দ্বারপ্রান্তে।

সরাসরি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে দুই লাতিন পরাশক্তি আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। এছাড়া বাকি দলগুলো হলো– ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে ও প্যারাগুয়ে।

কনমেবল অঞ্চলের বাছাই পর্বে গোল করায় সবাইকে টেক্কা দিয়েছেন লিওনেল মেসি। ৩৮ বছর বয়সেও হয়েছেন দক্ষিণ আমেরিকার এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা। ইকুয়েডরের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা না খেললেও ১২ ম্যাচে ৮ গোল করে সবার ওপরে মেসি। ইন্টার মায়ামির মহাতারকা ৩টি অ্যাসিস্টও করেছেন।

পরিসংখ্যান বলছে ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম এতো কম গোল নিয়ে কেউ এই অঞ্চলের বাছাই পর্বের গোল্ডেন বুট জিতলেন। সেবার উইলিয়াম রামাল্লো ৭ গোল নিয়েই সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছিলেন।

ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মেসিকে টেক্কা দেয়ার সুযোগ ছিল কলম্বিয়ার লুইস দিয়াজের। ৬-৩ গোলে জয়ের ম্যাচে গোল করতে ব্যর্থ হয়েছেন দিয়াজ। বায়ার্ন মিউনিখের এই উইঙ্গার ৭ গোল নিয়ে আছেন মেসির পরেই। ১৭ ম্যাচে ৭ গোলের পাশাপাশি করেছেন ৩টি অ্যাসিস্ট।

দিয়াজের সমান ৭ গোল করেছেন বলিভিয়ার মিগুয়েল তেরসেরোসও। তিনি ম্যাচ খেলেছেন ১২টি। ইকুয়েডরের উইঙ্গার ইনার ভ্যালেন্সিয়া করেছেন ৬ গোল। ব্রাজিলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন রাফিনিয়া। ভেনেজুয়েলার সলোমন রন্ডন ও উরুগুয়ের ডারউইন নুনেজও সমান গোল করেছেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন