ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে দেশটিতে সফর করছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ। জাওয়াদ আবরার ও রিফাত বেগের ভালো শুরুর পর মাঝে কিছুটা চাপে পড়েছিল টাইগার যুবারা। তবে রিজান হোসেন ও কালাম সিদ্দিকীর ১৪৮ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পায় সফরকারীরা।
এদিন অবশ্য নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলতে পারেনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। লাফবোরোর হেসলেগ্রেভ গ্রাউন্ডে ৪৯.২ ওভারে অল আউট হওয়ার আগে ২৯২ রান করেছে লাল-সবুজরা। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন রিজান। তার ১০০ রানের ইনিংসই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশকে ভালো শুরু এনে দেন জাওয়াদ ও রিফাত। দুজনের ব্যাটে শুরু থেকেই দ্রুত রান তুলতে থাকে সফরকারীরা। ইনিংসের অষ্টম ওভারে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন অ্যালেক্স গ্রিন। ডানহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ১৮ বলে ১১ রান করে বোল্ড হন রিফাত। পাওয়ার প্লে শেষে ম্যাথু ফায়ারব্যাংকের বলে ৯ রানে আউট হন আজিজুল হাকিম তামিম।
কয়েক ওভারের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন জাওয়াদও। দারুণ ব্যাটিং করলেও হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি তার। জেমস মিন্টোর বরে আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৪০ রান করেছেন ডানহাতি এই ওপেনার। দ্রুতই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। সেখান থেকে জুটি গড়ে সফরকারীদের টেনে তোলার চেষ্টা করেন কালাম সিদ্দিকী ও রিজান।
দুজনের ব্যাটে একটু একটু করে এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ। ৮৪ বরে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে থামেন কালাম। মিন্টোর বলে তিনি লেগ বিফোর হয়ে ফিরলে ভাঙে রিজানের সঙ্গে তার ১৪৮ রানের জুটি। পরের বলে আউট হন আব্দুল্লাহ। ভালো শুরু পেলেও শেষ পর্যন্ত টিকতে পারেননি রাতুল। বাইরন হটন লয়ির বলে ফেরার আগে ১৩ বলে ২১ রান করেন।
শেষদিকে শাহরিয়ার আল আমিনের সঙ্গে জুটি গড়েন রিজান। শেষ পর্যন্ত ঠিক ১০০ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করেন তরুণ এই ব্যাটার। সেঞ্চুরি পাওয়ার পরের ওভারে হটন লয়ির বলে আউট হন তিনি। শেষ দিকে ২৩ বলে ২৫ রানের ক্যামিও খেলেন আল আমিন। ইংল্যান্ডের হয়ে মিন্টো ৫টি ও হটন লয়ি তিনটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল— ২৯২/১০ (৪৯.২ ওভার) (জাওয়াদ ৪০, রিফাত ১১, আজিজুল তামিম ৯, কালাম ৬৮, রিজান ১০০, রাতুল ২১, আল আমিন ২৫; মিন্টো ৫/৬৮, হটন ৩/৪৯)।
খুলনা গেজেট/এএজে