আরেকটা রঞ্জি ট্রফি খেলার কথা কদিন আগেই জানিয়েছিলেন। এমনকী ভারতের হয়ে আবারও জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নও উড়িয়ে দেননি। সেই চেতেশ্বর পুজারা আচমকা অবসর নিয়েছেন। টেস্ট স্পেশালিস্ট এই ব্যাটারের অবসরের পর সবার আগে বোর্ডের উপেক্ষার প্রশ্নটা এসেছে। যদিও এ নিয়ে কথা বলতে রাজি নন তিনি।
দীর্ঘ দিন ধরেই ভারতের টেস্ট দলে সুযোগ পাননি পুজারা। অথচ এক সময় একাদশের অপরিহার্য ছিলেন তিনি। বোর্ডের নিয়মিত উপেক্ষাই কি তাকে অবসরের পথে হাঁটতে বাধ্য করল?
‘আজ তক’-এ সাক্ষাৎকারে পুজারা বলছেন, “অবসর নেওয়া ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এটাই সঠিক সময় বলে আমার মনে হয়েছে। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে ক্রমশ তরুণ ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। ভেবেছিলাম আর এক মৌসুম রঞ্জি খেলব। তারপর ভাবলাম, তরুণদের সুযোগ পাওয়া উচিত। গত কয়েক বছরে কেন ভারতীয় দলে ডাক পাইনি সেটা নিয়ে কথা বলতে রাজি নই।”
পুজারার সংযোজন, “ভারতীয় দলে স্মরণীয় সময় কাটিয়েছি। আজ আমি সত্যিই খুশি। এত বছর ধরে ভারতের হয়ে খেলতে পেরেছি। দু’বার বড় চোট পাওয়ার পরেও খেলা চালিয়ে যেতে পেরেছি। কোনও দিন ভাবিনি এমন হবে।”
অবসরের সিদ্ধান্ত আচমকা হলেও, পুজারা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ভেবেছেন। তার কথায়, “আগে খুব একটা এ নিয়ে ভাবিনি। গত এক সপ্তাহ ধরে মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময়। তাই আজ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা আমার এবং পরিবারের কাছে গর্বের।”
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের অক্টোবরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যাত্রা শুরুর পর ভারতের হয়ে ১০৩টি টেস্ট এবং ৫টি ওয়ানডে খেলেছেন পুজারা। লাল বলে তিনি সবসময়ই টপ অর্ডারে ভরসার নাম ছিলেন। ৪৩.৬০ গড়ে করেছেন ৭১৯৫ রান। রয়েছে ১৯টি সেঞ্চুরি ও ৩৫ হাফসেঞ্চুরি। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে পুজারা ছিলেন ভারতের তিন নম্বর পজিশনের সেরা টেস্ট ব্যাটার। ঘরে–বাইরে সব জায়গায় ছিলেন সাবলীল। ওভালে ২০২৩ সালের জুনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেরেছিল ভারত। সেটাই ছিল পুজারার শেষ ম্যাচ।
খুলনা গেজেট/এনএম