বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

এবার মিরপুরের উইকেট নিয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফাহিমের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

১৪ মাস পর মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে। বিরতির পরও অবশ্য হোম অব ক্রিকেটে পিচের আচরণ বদলায়নি। লো স্কোরিং উইকেট ছিল প্রথম দুই ম্যাচে। সেই দুটিতে জিতে বাংলাদেশ সিরিজ শেষ করে ২-১ ব্যবধানে। সিরিজ জিতলেও আলোচনায় ছিল মিরপুর শের-ই বাংলার উইকেট। যা নিয়ে এবার নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখালেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম।

সিরিজের প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি উভয় দলের ব্যাটাররা খাবি খেয়েছে, খেলতে পারেনি বড় ইনিংস। যে কারণে সফরকারী পাকিস্তানের কোচ-অধিনায়ক কড়া সমালোচনাও করেছিলেন। কোচ মাইক হেসনের অভিযোগ ছিল, মিরপুরের (প্রথম দুই ম্যাচের) পিচ আন্তর্জাতিক মানের নয়। এবার বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিমও জানালেন উইকেট নিয়ে অখুশির কথা।

গতকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রামে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাহিম জানান, বোর্ড থেকে লো ও স্লো ট্র্যাক বানানোর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘স্পোর্টিং (উইকেট) করার চেষ্টা করেছে। এখন করতে পারেনি, যারা এটা করে এই দায়টা তাদের। আমার মনে হয় না বোর্ডের দিক থেকে বলা হয়েছে লো–স্লো উইকেট করতে হবে। আমরা চাই ভালো, বাউন্সি উইকেট হোক।’

ভবিষ্যতে মিরপুরের উইকেটে পরিবর্তনের প্রত্যাশা ফাহিমের, ‘যেখানে বেশি খেলা হয় সেখানকার মাটি নিয়ে হোক বা যেভাবেই হোক, কিছু কারণ অবশ্যই আছে। মিরপুরের উইকেটটা মোটেই সন্তোষজনক নয়। এটা আমরা সবাই স্বীকার করি। সামনে কাজ করলে হয়তো পুরো মাটিই সরিয়ে ফেলতে হবে বা প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। সামনে হয়তো কিছু পরিবর্তন আসবে, তার মাধ্যমে আমরা আরও বেটার উইকেট দেখতে পারি মিরপুরে।’

মিরপুরের চিরাচরিত কালো মাটির উইকেট নিয়েও চিন্তার কথা বললেন বিসিবির এই পরিচালক, ‘চিন্তার জায়গা অবশ্যই। উইকেটে ঘাস থাকলে বলের খুব ক্ষতি হতো না। মাটিতে বলের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে তখন বলও মাটির রং–ই ধারণ করে। বলের মধ্যেও একটু কালচে দাগ চলে আসে। সেটা একটা ফ্যাক্টর অবশ্যই। সঠিক মন্তব্য করেছেন আমাদের বোর্ড সভাপতি (আমিনুল ইসলাম বুলবুল)।’

এর আগে মিরপুরের লো স্কোরিং উইকেট নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, ‘ক্রিকেটারদের ভালো করার জন্য দরকার ভালো উইকেট। মিরপুরের উইকেট আদর্শ উইকেট না। এখানে ক্রিকেটাররা অনুশীলন করলে তাদের ব্যাট ভেঙে যায়, ব্যাটিং করতে পারে না। কোনো আত্মবিশ্বাস পায় না ক্রিকেটাররা এই ধরনের উইকেটে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন