খানজাহান আলী থানাধীন তেলিগাতী কুয়েট রোডে অবস্থিত গভঃ ল্যাবরেটরি হাই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমান কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত ‘Aloha Mental Artithmatic International competition-2025’ এ দ্বিতীয় রানার-আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে বিদ্যালয় তথা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।
২০ জুলাই কম্বোডিয়ার PH Grand Hall এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের ৪২ টি দেশের বাছাই করা সেরা গণিত প্রতিযোগীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
আন্তর্জাতিক ওই প্রতিযোগিতায় আলোহা খুলনা ব্রাঞ্চ থেকে সাবরিনা রহমানের সাথে আরো ১০ জন প্রতিযোগী অংশ নিয়ে প্রত্যেকেই বিজয়ী হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী ছাত্র-ছাত্রীরা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। ১৯৯৩ সালে সর্বপ্রথম আলোহার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ৪০ ‘র বেশী। ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে আলোহার প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে আলোহার জাতীয় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বাছাইকৃতরা কম্বোডিয়ার PH Grand Halle এ অনুষ্ঠিত ‘Aloha mental Arithmatic International competition -2025 ‘ এ অংশগ্রহণ করে। এ প্রতিযোগিতায় আলোহার খুলনা শাখার মোট ১১ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে প্রত্যেককেই বিজয়ী হয়।
গভঃ ল্যাবরেটরী হাই স্কুলের মেধাবী শিক্ষার্থী সাবরিনা রহমানের অবিস্মরণীয় এ সাফল্যে গর্বিত বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ কর্মচারীবৃন্দ। তার এ সাফল্যে অভিভূত বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুবায়ের আলম। সাবরিনা রহমানকে নিয়ে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, ‘সে আমার খুব প্রিয় একজন ছাত্রী। পড়াশুনায় শুধু নয়, কো-কারিকুলার এক্টিভিটিতেও তার জুড়ি হয় না। নিরহংকারী, সদা হাস্যজ্বল, ভদ্র ও মার্জিত আচরণের অধিকারী, সে ব্যাপারে শিক্ষক-শিক্ষার্থী কারো দ্বিমত নেই বললেই চলে। তার ব্যাপারে আমি অত্যন্ত আশাবাদী যে, সে জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করবে। সম্প্রতি সে আমাদের প্রত্যাশা পূরণে বাংলাদেশ থেকে কৃতিত্বের সাথে সফল হয়ে কম্বোডিয়াতে অনুষ্ঠিত “Aloha Mental Artithmatic International Competition-2025” – এ অংশগ্রহণ করে এবং 2nd Runner-up হওয়ার গৌরব অর্জন করে। তার এ অর্জনে GLHSK শিক্ষা পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। বিদ্যালয়ের সুনাম ও সুখ্যাতি বৃদ্ধি করায় তাকে অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানাচ্ছি। সে আরও কৃতিত্ব অর্জন করে নিজেকে সফল ও আদর্শ একজন মানুষে পরিণত করুক- এ প্রত্যাশা নিরন্তর। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি। আমিন।
মেয়ের এ সাফল্যে অনুভূতি ব্যক্ত করে খুলনা গেজেটকে নাসরিন নাহার বলেন, ‘আমার মেয়ে ছোটবেলা থেকেই পড়াশুনায় মেধাবী হওয়া সত্বেও কো-কারিকুলার এক্টিভিটিসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে এ গৌরব অর্জন করে, যা বাবা-মা হিসেবে আমাদের গর্বিত করেছে। আমরা তার জন্য সকলের দোয়া প্রার্থী’।
মেধাবী সাবরিনার রহমানের বাবা-মা দু’জনই কলেজে শিক্ষকতা করেন। বাবা মোঃ মাসুদুর রহমান সরকারি নাওয়াপাড়া কলেজ এবং মা নাসরিন নাহার অভয়নগর ভৈরব আদর্শ ডিগ্রী কলেজের শিক্ষক। দুই বোনের মধ্যে সাবরিনা রহমান পিতা-মাতার ছোট মেয়ে। সে আলোহা লেভেল-৫ ‘র একজন প্রতিযোগী। দৌলতপুর থানাধীন রেলীগেট গেট পালপাড়া এলাকায় বাবা-মায়ের সঙ্গে বসবাস করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে