সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে বাংলাদেশ। টুর্নামেন্টে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচেও জয় পেয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা। রোববার (১৯ জুলাই) বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার প্র্যাকটিস মাঠে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে লাল-সবুজরা।
প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিক দল। কানন রানী বাহাদুর ও পূজা দাসের গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল করে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মেয়েরা। পূজা দাস শেষ পর্যন্ত করেন হ্যাটট্রিক। বাকি দুটি গোল করেন তৃষ্ণা রানী ও অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি।
এই জয়ে টানা পাঁচ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে বাংলাদেশ। সোমবার (২১ জুলাই) প্রতিযোগিতার শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। টুর্নামেন্টের শিরোপা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রয়োজন মাত্র এক পয়েন্ট। তবে ওই ম্যাচে যদি বাংলাদেশ হারে, তাহলে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন হবে নেপাল, যাদের বর্তমানে পয়েন্ট ১২।
প্রথম লেগে শ্রীলঙ্কাকে মাত্র চার মিনিটেই দুই গোল দিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এদিন সেই দলের বিপক্ষে গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ২৫ মিনিট। সংঘবদ্ধ আক্রমণ থেকে গোলমুখে বল ঘুরতে ঘুরতে পেয়ে যান কানন রানী বাহাদুর। নিখুঁত শটে দলকে এগিয়ে নেন তিনি। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে দ্বিতীয় গোলটি আসে তৃষ্ণা রানীর শট থেকে। গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বল পোস্টে লাগলেও, ফিরতি বলে ঠিকই গোল করে দেন পূজা দাস।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। একসঙ্গে পাঁচটি পরিবর্তন এনে পিটার বাটলার মাঠে নামান আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, মুনকি আক্তার, উমেলহা মারমা ও শান্তি মারডিকে। একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে দলটি, যদিও ফিনিশিংয়ে কিছুটা এলোমেলো ছিল। লঙ্কান গোলরক্ষক থারুশিখা একের পর এক সেভ করে বারবার বাঁধা হয়ে দাঁড়ান। কয়েকবার পোস্টেও প্রতিহত হয় বাংলাদেশের প্রচেষ্টা।
অবশেষে ৭৩তম মিনিটে পূজা দাস বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন। এরপর ৮৭ মিনিটে তৃষ্ণা রানী চমৎকার ড্রিবলিংয়ের পর গোলরক্ষককে পরাস্ত করে করেন চতুর্থ গোল। ইনজুরি সময়ে পেনাল্টি পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার প্রান্তি সুনির্দিষ্ট শটে গোল করে স্কোরলাইন দাঁড় করান ৫-০।
এই জয়ে আত্মবিশ্বাসে টইটম্বুর বাংলাদেশের সামনে এখন দরকার এক পয়েন্টের, যা পেলেই ধরা দেবে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা।
খুলনা গেজেট/এএজে