বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

কিয়ামতের দিন যে ৫ প্রশ্নের জবাব না দিয়ে কেউ রেহাই পাবে না

গেজেট প্রতিবেদন

কিয়ামতের বিভীষিকাময় দিনে কেউ কারও হবে না। প্রত্যেকেই ‘ইয়া নাফসি, ইয়া নাফসি’ করতে থাকবে। এমনকি বিভীষিকাময় সেই দিনে বাবা-মা, সন্তান-সন্ততিরও হুঁশ থাকবে না কারও।

পবিত্র কুরআনে কিয়ামত দিবসের ব্যাপারে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেদিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাই থেকে, তার মা ও তার বাবা থেকে, তার স্ত্রী ও তার সন্তান-সন্ততি থেকে। সেদিন তাদের প্রত্যেকেই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। সেদিন কিছু কিছু চেহারা উজ্জ্বল হবে। সহাস্য, প্রফুল্ল। আর কিছু কিছু চেহারার ওপর সেদিন থাকবে মলিনতা। (সুরা আবাসা, আয়াত: ৩৪-৪০)

সেদিন বান্দার আমলেই নির্ধারণ হবে তার চিরস্থায়ী ঠিকানা জান্নাত নাকি জাহান্নাম। আর হাশর-নশরে মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও সাক্ষ্য দেবে। পবিত্র কুরআনে মহান রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেছেন, ‘যেদিন তাদের জিহ্বাগুলো, তাদের হাতগুলো ও তাদের পাগুলো তারা যা করত, সে ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। সেদিন আল্লাহ তাদেরকে তাদের ন্যায্য প্রতিদান পুরোপুরি দিয়ে দেবেন, আর তারা জানবে যে, আল্লাহই সুস্পষ্ট সত্য। (সুরা নূর, আয়াত: ২৪-২৫)

এজন্য পরকালে সফল হতে পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনে মহান আল্লাহর হুকুম যেমন মেনে চলা জরুরি, তেমনি রাসুল (সা.) এর আদর্শ ও তাঁর দেখানো পথ অনুসরণও জরুরি। তাহলেই পরকালে মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত।

এ ক্ষেত্রে কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্নের জবাব দেয়া ছাড়া কেউ পার পাবে না। ইবনু মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেছেন- কিয়ামত দিবসে পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ হওয়ার আগপর্যন্ত আদম সন্তানের পদদ্বয় আল্লাহ্ তা’য়ালার নিকট থেকে সরতে পারবে না।

প্রশ্নগুলো হলো-
১. তার জীবনকাল সম্পর্কে, কীভাবে অতিবাহিত করেছে
২. তার যৌবনকাল সম্পর্কে, কী কাজে তা বিনাশ করেছে,
৩. তার ধন-সম্পদ সম্পর্কে, কীভাবে তা উপার্জন করেছে,
৪. অর্জিত সম্পদ কি কি খাতে খরচ করেছে এবং
৫. সে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছিল, সে অনুযায়ী কি কি আমল করেছে। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ২৪১৬)

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন