মহারাষ্ট্র-উত্তর প্রদেশের কৃষক-মিছিল দিল্লির দিকে, পশ্চিমবঙ্গে মশাল মিছিল

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা

উত্তরাখণ্ডের উধমসিংহ নগর জেলার বাজপুরে ট্র্যাক্টর দিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড সরাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকেরা, শুক্রবার।
উত্তরাখণ্ডের উধমসিংহ নগর জেলার বাজপুরে ট্র্যাক্টর দিয়ে পুলিশ ব্যারিকেড সরাচ্ছেন প্রতিবাদী কৃষকেরা, শুক্রবার।

কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশের কৃষক- ক্ষেতমজুরদের বড় বড় মিছিল ভারতের রাজধানী দিল্লিকে ঘিরে দিয়েছে। আরো মিছিল এই দুই রাজ্য থেকে দিল্লির দিকে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে কৃষক-ক্ষেতমজুরদের মশাল-মিছিল কর্মসূচি চলছে।

আন্দোলনের ৩৭ দিনেও কৃষকদের মনোবল ভাঙতে পারেনি বিজেপি সরকার। বরং কৃষক আন্দোলন ভারতে আরো বড় আকার ধারণ করেছে। এই কনকনে শীতে আন্দোলন করতে গিয়ে ত্রিশের বেশি কৃষক – ক্ষেতমজুর মারা গেছেন। তবুও কৃষক- ক্ষেতমজুরদের অনশন কর্মসূচিকে ভাঙতে পারেনি বিজেপি সরকার। ভারতের এই কৃষক- ক্ষেতমজুরদের একটাই দাবি। আর তাহল , অবিলম্বে জনবিরোধী কৃষি আইন বাতিল করতে হবে। কৃষি আইন বাতিল না করা পর্যন্ত তারা আন্দোলনে অনড় ও অটল।

ভারতীয় ডাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি বলেন , রুজি- রোজগারের এটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। এই আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার জন্য বিজেপি সরকার ধর্মীয় বিভাজন পর্যন্ত আনতে চেয়েছিল। কিন্তু কৃষক- ক্ষেতমজুররা অনড়।

এদিকে এই আন্দোলনকে আরো শক্তিশালী করার জন্য ভারতের হিন্দু- মুসলিম- শিখ- খ্রিস্টান ঐক্যবদ্ধ । তারা এই কনকনে শীতে মসজিদ- মন্দির- গির্জা- গুরুদুয়ারগুলি কৃষকদের রাত কাটানোর ব্যবস্থা করেছেন। দিল্লির সাধারণ মানুষ সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে কৃষক- ক্ষেতমজুর আন্দোলন কার্যত চাঙ্গা ।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গের কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মশাল মিছিলের পর নতুন বছরে এখানকার কৃষক- ক্ষেতমজুররা দিল্লি অভিমুখে মিছিল করবেন। সব মিলিয়ে ভারতে কৃষক- ক্ষেতমজুর বিদ্রোহ অটল।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন