রবিবার । ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী প্রদেশে কারফিউ জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রাত প্রদেশে কারফিউ জারি করেছে থাইল্যান্ড । বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় কম্বোডিয়ার সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর রোববার (১৪ ডিসেম্বর) এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর দু’দিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই পক্ষ সংঘর্ষ বন্ধে সম্মত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত থাইল্যান্ড বা কম্বোডিয়া কেউই সে বার্তায় কর্ণপাত করেনি। খবর রয়টার্স-এর।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী দুই দেশ চলতি বছর একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছে। মে মাসে সীমান্ত সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হওয়ার পর পুরোনো বিরোধ নতুন করে মাথাচাড়া দেয়। সংঘাতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তের উভয় পাশে কয়েক লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

কারফিউ ঘোষণার পর থাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সুরাসান্ত কংসিরি ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। আলোচনায় বসার আগে কম্বোডিয়াকে অবশ্যই শত্রুতামূলক কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।’

শনিবার থাই সেনাবাহিনী জানায়, তারা একটি সেতু ধ্বংস করেছে। তাদের দাবি, সেতুটি ব্যবহার করে কম্বোডিয়া ওই অঞ্চলে ভারী অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম পাঠাত। একই সঙ্গে কম্বোডিয়ার উপকূলীয় কোহ কং প্রদেশে আগে থেকেই মোতায়েন করা কামান লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়।

এদিকে কম্বোডিয়া অভিযোগ করেছে, থাইল্যান্ড বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে।

থাইল্যান্ডের জারি করা কারফিউ কোহ কংয়ের সীমান্তবর্তী ত্রাত প্রদেশের পাঁচটি জেলায় কার্যকর হবে। তবে পর্যটন দ্বীপ কোহ চ্যাং ও কোহ কুড এই কারফিউর আওতার বাইরে থাকবে। এর আগে দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় সাকেও প্রদেশেও কারফিউ জারি করা হয়েছিল, যা এখনো বহাল রয়েছে।

সোমবার থেকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া তাদের ৮১৭ কিলোমিটার (৫০৮ মাইল) দীর্ঘ সীমান্তের একাধিক স্থানে ভারী অস্ত্রের গোলাবিনিময় করেছে। এটি জুলাই মাসে পাঁচ দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর সবচেয়ে তীব্র লড়াই হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সেবার ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় সংঘাত শেষ হয়েছিল।

এদিকে গত শুক্রবার ট্রাম্প থাইল্যান্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নভিরাকুল এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেতের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান। তিনি বলেন, তারা ‘সব ধরনের গোলাগুলি বন্ধে’ সম্মত হয়েছেন।

তবে শনিবার অনুতিন ঘোষণা দেন, ‘আমাদের ভূমি ও জনগণের প্রতি হুমকি শেষ হলেই আমরা লড়াই বন্ধ করব।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন