ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাফাতে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। মিসর সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলটি মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, রাফাতে ঠিক কি হচ্ছে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। কিন্তু সর্বশেষ এক ঘণ্টায় সেখানে ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে গুলি বিনিময় হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এরপর শুরু হয় গোলাবর্ষণের শব্দ শুরু হয়। ওই সময় রাফা এবং খান ইউনিসের পূর্ব অংশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
এছাড়া এক ইসরায়েলি সেনা আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে আলজাজিরা।
নতুন করে গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের পর গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও হতাশা তৈরি হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এই গোলাগুলির কারণে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি ভেঙে যেতে পারে। দখলদাররা আরও বিমান হামলা ও বোমাবর্ষণ করতে পারে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি যে কোনো সময় ভেঙে যেতে পারে।
দখলদার ইসরায়েলের হাতে গতকাল সোমবার একটি কফিন বুঝিয়ে দেয় ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। আর এই কফিনে এক ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহের বাকি অংশ ফিরিয়ে দিয়েছে তারা। তার মরদেহের বাকি অংশ ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা থেকে উদ্ধার করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।নতুন জিম্মির মরদেহ না দিয়ে আরেকজনের দেহাংশ ফেরত দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছে দখলদাররা। তাদের দাবি, হামাস এরমাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে আজ মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এতে সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থরা উপস্থিত আছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল। দখলদারদের এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির শুরু থেকেই এটি লঙ্ঘন করছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
সূত্র: আলজাজিরা
খুলনা গেজেট/এএজে

