তাইওয়ানে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে চীনে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী টাইফুন রাগাসা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডন প্রদেশের হাইলিং দ্বীপের উপকূলে আছড়ে পড়ে টাইফুনটি। দ্বীপটি ইয়াংজিয়াং সিটিতে অবস্থিত।
চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, আঘাত হানার সময় টাইফুনটির কেন্দ্রের বাতাসের গতিবেগ ছিল ১৪৪ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা।
গত সোমবার সর্বপ্রথম ফিলিপাইনে আঘাত হানে এ সামুদ্রিক ঝড়টি। ওই সময় ঝড়টি সুপার টাইফুনে পরিণত হয়েছিল। এরপর এটি তাইওয়ান ও চীনের দিকে এগোতে থাকে। এছাড়া হংকংয়েও রাগাসার প্রভাব পড়ে। চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন ছিল রাগাসা।
হংকংয়ে টাইফুনের আঘাতে অন্তত ৬২জন আহত হয়েছেন। এছাড়া এটি অবকাঠামোর অনেক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। টাইফুনের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে।
অপরদিকে তাইওয়ানে রাগাসা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। বিশেষ করে একটি লেকের বাঁধ ভেঙে অন্তত ১৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ এখনো ১৭ জন মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গুয়াংফু নামে শহরটির লেকের বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর লোকালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ে। এতে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
তাইওয়ানের প্রধানমন্ত্রী চো জাং-তাই লেকের বাঁধ ভাঙা ও বন্যার পানিতে মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কেন সেখানকার মানুষকে সরানো হয়নি এর কারণ খুঁজে বের করা হবে।
শহরটিতে সরাসরি গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী চো জাং-তাই। এছাড়া ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসিয়াও বি-খিমও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন।
আজ বুধবার টাইফুনটি কিছুটা দুর্বল হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এটির যে শক্তি ছিল তা জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির জন্য যথেষ্ট ছিল।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
খুলনা গেজটে/এএজে