রবিবার । ১৬ই নভেম্বর, ২০২৫ । ১লা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

এস আই আর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বৃহত্তর বাম আন্দোলনের ডাক

মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা

স্পেশাল  ইনটেনসিভ রিভিশন (এস আই আর) বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনীর বিরুদ্ধে ঐকবদ্ধভাবে বাম দলগুলির পশ্চিমবঙ্গে  বৃহত্তম আন্দোলনের ডাক দিল বামদলগুলি।
বুধবার (১৭সেপ্টেম্বর) কলকাতার প্রাণকেন্দ্র মৌলালি যুবকেন্দ্র সিপিআই(এম এল) লিবারেশনের ডাকে বামপন্হী দলগুলির একটি গণকনভেনশন থেকে এই ডাক দেওয়া হল।
ইণ্ডিয়া জোটের বিহারের ভোটাধিকার যাত্রার ধাঁচে  এই বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিলেন বামপন্হী দলগুলির  নেতৃবৃন্দ। এদিনের গণকনভেনশনে আয়োজক সংগঠন সিপিআই(এম এল) লিবারেশন ছাড়াও আরো যে বামপন্হী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ‌ সামিল হন তারা হল সিপিআই, সিপিআই(এম) ,আর এস পি ও এস ইউ সি আইন(কমিউনিস্ট)।
এদিন বামপন্হী দলগুলোর নেতৃবৃন্দ  বলেন, বিজেপি সরকারের এই এস আই আর ভোট চুরি, ভোটাধিকার হরণ, ঘুরপথে নাগরিকত্ব হরণ ও ভারতীয় সংবিধানের উপর আঘাত হানা।
ভারতীয় সুপ্রাচীন গণতান্ত্রিক কাঠামোর আক্রমণ। তাই একে প্রতিহত করতে হলে চাই তৃণমূলস্তরে বামদলগুলির ঐকবদ্ধ আন্দোলন করা। রাস্তায় মানুষকে পথ দেখাবে।
এদিন বক্তব্য বলেন, সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি,  সিপিআই(এম) রাজ্যসম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সিপিআই(এম এল ) লিবারেশনের সর্বভারতীয় সাধারণ  সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য,  আর এস সি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মনোজ ভট্টাচার্য  ও এস ইউ সি আই(কমিউনিস্ট) -এর রাজ্যসম্পাদক চণ্ডীদাস ভট্টাচার্য ।
বামপন্হী দলগুলির নেতৃবৃন্দ‌ এস আই আর ‘ ভোটাধিকার বাঁচাও গণতন্ত্র বাঁচাও’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন।   এছাড়া প্রস্তাব পেশ করেন সিপিআই(এম এল) লিবারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যা ইন্দ্রাণী দত্ত। প্রস্তাবে বলা হয়, কর্পোরেট লালিত এই বিজেপি সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দেশে ৭৫ শতাংশ  প্রান্তিক মানুষের ঘুরপথে তাদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকা কেড়ে নিচ্ছে।
এদিকে বামপন্হী দলগুলির নেতৃবৃন্দ বলেন, আর এস এস ও কর্পোরেট লবির মনুবাদী এজেণ্ডাকে পুরোপুরে কার্যকর করছে বিজেপি।
তাই এই প্রক্রিয়ার শিকার হবেন সংখ্যালঘু মুসলিম  সম্প্রদায়, মতুয়া ও উদ্বাস্তু, ভারত বা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিক, আদিবাসী, নমশুদ্র হিন্দু ও বঙ্গভাষী মানুষ। এই তালিকায় থাকবে কৃষক-খেতমজুর ও শ্রমজীবী মানুষ। নেতৃবৃন্দ বলেন, আর এস এস ও হিন্দুমহাসভা কোনোদিনই তাদের ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে‌ ভূমিকা  ছিল না।
তারা ব্রিটিশদের দালালি করেছে। তারা ভারতকে কোনোদিনই ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র  চায়নি। তারা ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করতে চায়। এই দল হিন্দি-হিন্দুস্তানকে কার্যকর করতে চায়।  আর বিশেষ এক সম্প্রদায়ের অস্তিত্বকে শেষ করে দিতে চায়। তাই অতীত দিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আমাদের বৃহত্তর লড়াই করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন