আন্দোলন হাইজ্যাক হয়েছে, বললেন নেপালের বিক্ষোভকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক আন্দোলন হয়েছে নেপালে। জেন-জির নেতৃত্বাধীন এ আন্দোলনের মুখে গতকাল (৯ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন।

এরপর দেশটিতে ব্যাপক সহিংসতা শুরু হয়। পার্লামেন্ট ভবন, সুপ্রিম কোর্ট ভবনসহ বহু সরকারি প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বাদ যায়নি কারাগারও। সেখানে হামলা চালিয়ে শত শত কয়েদিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছে অনেকে।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া জেন-জি বলছে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে তাদের কেউ নেই। তাদের আন্দোলন হাইজ্যাক করেছে ‘সুবিধাবাদী’ একটি দল। এই দলটি গতকাল সারাদিন অরাজকতা করেছে।

স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টা থেকে দেশের আইনশৃঙ্খলার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী। ভোর থেকে নেপালে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়। আর সন্ধ্যা থেকে কাল সকাল পর্যন্ত কারফিউ জারি হবে।

সেনাবাহিনী কঠোর অবস্থানে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে রাজধানী কাঠমান্ডুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর নির্দেশনা মেনে ঘর থেকে বের হননি।

যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর লাউড স্পিকারে সেনাবাহিনী একটু পর পর ঘোষণা দিচ্ছে ‘অপ্রয়োজনীয় কাজ’ কেউ বের হবেন না।

এরমধ্যে কিছু তরুণ বের হয়েছেন। গতকালকের সহিংসতায় রাস্তায় যেসব ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তারা সেগুলো পরিষ্কার করছেন। এরমধ্যে রয়েছে সাং লামা নামে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। এখন রাস্তা পরিষ্কারের জন্য বের হলেও সে অবশ্য আন্দোলনে যোগ দেয়নি। এ কিশোরী সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে বলেছে, নেপালে অনেকদিন ধরে দুর্নীতি আর দুঃশাসন চলছে। আমাদের আশা সত্যিই এবার এগুলোর সমাপ্তি ঘটবে।

সূত্র: বিবিসি

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন