মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার মাধুনি গ্রামে, যেদিকেই তাকাবেন শুধু বিরল ৮০-১০০ বছরের পুরোনো মাটির বাড়ি। বলা যায়, মুর্শিদাবাদের জীবন্ত জাদুঘর ১০০ বছরের পুরোনো বিরল মাটির বাড়ি এখনো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে, এখনো বসবাস করছে এই গ্রামে মানুষ। এই গ্রামে এখনো বেশির ভাগ শুধু মাটির বাড়ি। নবগ্রাম থানার ছোট্ট মাধুনিয়া গ্রামে আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে শতবর্ষী মাটির দোতলা বাড়ি-কালের সাক্ষী এক জীবন্ত ইতিহাস।
এ বাড়ির প্রতিটি দেয়াল, প্রতিটি ধুলো-কণায় লুকিয়ে আছে অতীত দিনের গল্প, সেই সময়ের মানুষের জীবনযাপন, রীতিনীতি আর অমলিন আবেগ।
একটা সময় ছিল, যখন ঘরে আলো আসত কুপি আর হারিকেনের আলোয়, চুলায় রান্না হত কুড়ের আগুনে। দুপুর গড়াত কলসিতে জল আনার হেঁসেল কাহিনীতে। সন্ধ্যা নামলেই উঠোনে বসত গল্পের আসর-ঠাকুরমার ঝুলির মত জীবন্ত রূপকথা।
আজও সেই বাড়ির গায়ে লেগে আছে পুরনো দিনের গন্ধ, কাঁথা-সেলাই করা মায়ের আঁচল, দাদুর হাতে গড়া সিঁড়ির ধাপ।
এমন দোতলা মাটির বাড়ি আজ বিরল, কিন্তু মাধুনিয়ায় সে ইতিহাস আজও বেঁচে আছে, মাথা উঁচু করে।
এই গ্রামের লোকজন বলছে এক একটা বাড়ির বয়স ১০০ কোনোটা ৭০ কোনোটা ৮০। তাই মাধ উনি গ্রাম একটা ইতিহাস।
খুলনা গেজেট/এনএম