মঙ্গলবার । ১৮ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

গাজায় তীব্র প্রতিরোধের মুখে ইসরাইল, নিহত ৪৫ সেনা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর সাথে হামাস যোদ্ধাদের তীব্র লড়াই চলছে। গত কয়েক দিন ধরে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর স্থল হামলা জোরদার হওয়ার পর থেকে গাজার উত্তরাঞ্চলে সংঘাতের তীব্রতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযানে বিভিন্ন স্থাপনা, হাসপাতালেও চালানো হচ্ছে হামলা। তবে স্থল অভিযানে খুব বেশি অগ্রগতি হয়নি ইসরাইলের। সংঘাতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি উত্তর গাজার শহর গাজা সিটির হাসপাতালগুলোর আশেপাশে। এখন পর্যন্ত গাজায় স্থল অভিযানে গিয়ে ৪৫ সেনা প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরাইল। সোমবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজায় লড়াইয়ে আরো দুই সেনা নিহত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইসরাইলি বাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করে আসছে এই হাসপাতালগুলোর নিচে হামাসের টানেলের নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং এসব হাসপাতালকে কেন্দ্র করেই তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোর আশেপাশের এলাকায় বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র সংঘাত চলার কারণে কয়েকটি হাসপাতাল কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফা ‘আর হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে না’ বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ইসরাইলি বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলা ও স্থল আক্রমণ চলতে থাকায় গাজার আরো কয়েকটি হাসপাতালও একই পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।

গাজা সিটির আল শিফা হাসপাতালে এতদিন বোমা না ফেললেও হাসপাতালটির ৫০ থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরেই বোমা হামলা করে আসছিল ইসরাইলি বাহিনী। তবে গত কয়েকদিন ধরে ওই হাসপাতালের ভেতরে থাকা স্থাপনায় বোমা হামলা করার পাশাপাশি হাসপাতালের আশেপাশে স্থল হামলার তীব্রতাও বাড়িয়েছে তারা।

রোববার জাতিসঙ্ঘ জানিয়েছে অক্সিজেন প্রস্তুতকারী যন্ত্র, পানির ট্যাংক, ম্যাটার্নিটি ওয়ার্ড ও হৃদরোগ বিভাগসহ হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বোমা হামলায় ধ্বংস হয়েছে। চলমান সংঘাতের মধ্যে রোববার আল ওই হাসপাতালের তিনজন নার্সও মারা গেছেন বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ।

৭ অক্টোবর হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলি বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ১০১ জন জাতিসঙ্ঘ কর্মী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন