‘আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবে না সেনাবাহিনী’

পাকিস্তানে সহিংস বিক্ষোভে নিহত বেড়ে ১০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা ইমরান খানের গ্রেফতারের প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভ সহিংস রূপ নিয়েছে। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর বিবিসি উর্দুর।

এদিকে বিক্ষোভ দমনে সারাদেশে ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত পিটিআইয়ের ১ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। বেলুচিস্তান ও খাইবার পাখতুনখোয়াতেও সেনা মোতায়েনের কথা ভাবা হচ্ছে।

এদিকে বিক্ষোভকারীদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেনাবাহিনী। বুধবার সেনাবাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ হুঁশিয়ারি দেয়। বিবৃতিতে এ সহিংসতাকে ‘কালো অধ্যায়’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার। এদিন তার গ্রেফতারের পরপরই প্রতিবাদে করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি ও পেশোয়ারসহ সবগুলো বড় শহরে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। রাজপথে নেমে আসে খানের হাজার হাজার কর্মী ও সমর্থক। বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেফতারের পর দেশজুড়ে যে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, তার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত দুটি প্রদেশে সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা নামানো হচ্ছে। সর্বশেষ দফা বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা লাহোরে এক সেনা অধিনায়কের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে বিক্ষোভকারীরা সেনা সদর দফতরের প্রবেশ মুখ অবরোধ করেছে। মঙ্গলবার রাত হতেই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খন্ড লড়াই চলছে।

ইমরান খান গ্রেপ্তার এবং তাকে কেন্দ্র করে চলমান সহিংসতায় বিবৃতি দিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্স (আইএসপিআর)। তারা বলেছে, ৯ মে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ‘সেনাবাহিনীর প্রপার্টি এবং স্থাপনাকে টার্গেট করে’ প্রতিবাদ বিক্ষোভ বা ভাংচুরের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেছে আইএসপিআর। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।

ওই বিবৃতিতে আইএসপিআর আরও বলেছে, কাউকেই আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেবো না। এতে আরও বলা হয়, জাতীয় জবাবদিহিতা বিষয়ক ব্যুরোর অভিযোগের ভিত্তিতে আইন অনুযায়ী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট থেকে। ‘তাকে গ্রেপ্তারের পরপরই সেনাবাহিনীর প্রপার্টি এবং স্থাপনাকে টার্গেট করে হামলা হয়েছে। এ সময় সেনাবিরোধী স্লোগান দেয়া হয়েছে’।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন