বৃহস্পতিবার । ২০শে নভেম্বর, ২০২৫ । ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

শ্রীলঙ্কায় নতুন করে জনরোষ, জরুরি অবস্থা জারি (ভিডিও)

গে‌জেট ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আপাতত মালদ্বীপে। শ্রীলঙ্কায় বুধবার সকাল থেকে আবার নতুন করে জনরোষের ছবি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলেছে সেনা। এই পরিস্থিতিতেই জারি হয়ে গেল জরুরি অবস্থা।

প্রেসিডেন্টের পালানোর খবর চাউর হতেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। তাঁরা পার্লামেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল করে যান। পার্লামেন্টের ২০০ মিটার আগেই তাঁদের রুখে দেয় সেনা। প্রেসিডেন্টের ইস্তফা দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তাই-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। স্থানীয় সময় দুপুর ১টার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ইস্তফা না দিলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলতেই সেনা এবং পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ফাটানো হয়, সঙ্গে লাঠিচার্জও করা হয়। কিন্তু তাতেও আটকানো যায়নি বিক্ষোভকারীদের। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দেওয়াল টপকে বিক্ষোভকারীদের ভিড় ঢুকে পড়ে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার পর আবারো দেশটিতে ব্যপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ।

বুধবার (১৩ জুলাই) শ্রীলঙ্কার সংবাদ মাধ্যম ডেইলি মিরর এক প্রতিবেদনে একথা জানায়।

ডেইলি মিরর জানায়, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহ পুরো দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দেশের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশে কারফিউ জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় জানায়, দাঙ্গাকারীদের গ্রেপ্তার ও তারা যেসমস্ত গাড়িতে চলাফেরা করছে তা জব্দ করার জিন্য নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন রনিল বিক্রমসিংহ।

বিসিসি জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। অনেকেই শহরের প্রধান প্রতিবাদস্থল বলে পরিচিত গল ফেস গ্রিন-এ জমায়েত হয়েছেন।

প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ার পালানোর খবর প্রকাশ পেতেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামেন। তাঁরা পার্লামেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের উদ্দেশে মিছিল বের করেন। তবে, পার্লামেন্টের ২০০ মিটার আগেই তাঁদের আটকে দেয় সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শুধু তা-ই নয়, প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসংঘেরও পদত্যাগের দাবি তুলেছেন তাঁরা। আজই প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে পরিস্থিতি আরও অগ্নিগর্ভ হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

এদিকে, বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ঘিরে ফেলতেই সেনাবাহনী ও পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়, সঙ্গে লাঠিপেটাও করা হয়। কিন্তু, তাতেও বিক্ষোভকারীদের আটকানো যায়নি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের দেয়াল টপকে বিক্ষোভকারীদের ভিড় ঢুকে পড়ে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন