Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

খুলনার রনাঙ্গণে শেখ আব্দুল কাইয়ুম

কাজী মোতাহার রহমান

জন্মেছেন ১৫ ডিসেম্বর ১৯৫০। সেন্ট জোসেফস হাইস্কুল থেকে এস এস সি পাশ করেন। পরের লেখাপড়া উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক আযমখান কমার্স কলেজে। ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনেও অংশ নেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের জেলা সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতিলগ্নে জয় বাংলা বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। তার নেতৃত্বে জিলা স্কুল মাঠে জয়বাংলা বাহিনীর প্রশিক্ষণ হয়।

১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ শহীদ হাদিস পার্কে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭২ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৩ সালে সদ্য গঠিত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদে যোগদান করেন। ১৯৮৩ সালে জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। হাদিস পার্কে স্থাপিত খুলনার মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য দুর্জয়-৭১ স্থাপনের অন্যতম উদ্যোক্তা। ১৯৬৮ সালে সাপ্তাহিক দেশের ডাক পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতার সাথে সম্পৃক্ত হন।

এছাড়া গণকণ্ঠ ও ডাক দিয়ে যাই পত্রিকার সাথে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৪ সালে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে খুলনা শহরে পাক বাহিনী শক্তি বৃদ্ধি করতে থাকলে ভারতের হাফলং-এ মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ব্যাচে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

এ সময় তার সতীর্থ ছিলেন বাগেরহাটের অশোক কুমার দেবনাথ, বটিয়াঘাটার বিনয় সরকার, খুলনার আ ব ম নুরুল আলম, ইস্কান্দার কবির বাচ্চু, তপন বিশ্বাস ও শামসুল আলম হিরা। প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে সাতক্ষীরার তালা থানার বিএলএফ ক্যাম্পে আসেন। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কপিলমুনির যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। কপিলমুনিতে যুদ্ধাপরাধীদের গণ আদালতের বিচারের রায় কার্যকর করেন। ১৪-১৭ ডিসেম্বর গল্লামারীর রেডিও সেন্টার দখলের যুদ্ধে অংশ নেন।

তিনি নাগরিক ফোরাম, উমেশ চন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী, শিশু ফাউন্ডেশন ও সেক্টর কমান্ডার ফোরামে জড়িত ছিলেন। ২০১১ সালে মেয়র পদক লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। মৃত্যু ১৬ নভেম্বর ২০১৬।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন