Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২৪শে জুলাই, ২০২৫ । ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ক্রাইম ব্রাঞ্চে হস্তান্তর কঙ্গনা-হৃতিক ইমেল মামলা

বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন এবং কঙ্গনা রানাউত ইমেল মামলার তদন্তভার নিল মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ বা ক্রাইম ইনটেলিজেন্স ইউনিট। ২০১৬ সালের মে মাসে হৃতিকের দায়ের করা এই মামলার তদন্তভার এত দিন ছিল মুম্বাই পুলিশের সাইবার প্রতারণা শাখার হাতে। তবে এত দিনেও তদন্ত সেভাবে কিছুই এগোয়নি বলে অভিযোগ হৃতিকের। সম্প্রতি মুম্বাই পুলিশের কমিশনারকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান হৃতিকের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি। এর পরেই এই নির্দেশ।

অভিযোগ, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালের মধ্যে কঙ্গনার ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ১৪৩৯টি মেল পাঠানো হয় হৃতিকের ইমেল আইডিতে। এভাবে হৃতিকের উপর মানসিক চাপ তৈরি করার চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেন হৃতিকের আইনজীবী। এর সঙ্গেই প্রকাশ্যে করা কঙ্গনার কিছু মন্তব্যে তার মক্কেলের মানহানিও হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। এই মামলার ভিত্তিতে অবশ্য অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯-এর ৬৬ (সি এবং ডি) ধারায় মামলা রুজু হয়। ২০১৬ সালে এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা হৃতিককে তার ‘সিলি এক্স’ বলে দাবি করেছিলেন। এর পরেই হৃতিকের তরফে এই ইমেল সংক্রান্ত মামলাটি করা হয়।

কঙ্গনার আইনজীবী যদিও দাবি করেন, হৃতিকই কঙ্গনাকে ইমেল আইডি দিয়ে তাতে যোগাযোগ রাখতে বলেছিলেন। কঙ্গনা একা নন, সমান তালে ইমেল করেছিলেন হৃতিকও। কিন্তু কোনও ভাবে লোক লাগিয়ে হ্যাক করে হৃতিক নিজের পাঠানো সমস্ত মেল তার মক্কেলের আইডি থেকে মুছিয়ে দিয়েছিলেন বলে দাবি কঙ্গনার আইনজীবীর।

২০১০ সালে কাইট ছবি করার পরে ২০১৩ সালে একসঙ্গে কৃষ-৩ এ অভিনয় করার সময়ই ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় হৃতিক এবং কঙ্গনার। ২০১৪ সালের ২৪ মে চলচ্চিত্র পরিচালক তথা প্রযোজক করণ জোহরের একটি পার্টির রাতের পর থেকে সেই ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়ে। এই সময়ে নিজের বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়েও ব্যস্ত ছিলেন হৃতিক। দু’জনের কেউই এ নিয়ে সেই সময় প্রকাশ্যে কিছু না বললেও গোলমাল তৈরি হয় কঙ্গনা তার সাক্ষাৎকারে হৃতিককে ‘সিলি এক্স’ বলার পরে। আপাতত মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ কত দ্রুত এই ইমেল জট ছাড়াতে পারে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন