Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২৪শে জুলাই, ২০২৫ । ৯ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

বডি শেমিং নিয়ে মুখ খুললেন দীঘি

বিনোদন ডেস্ক

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। খুব ছোটবেলা থেকেই শোবিজে পথ চলা তার। বড় হয়ে এখন অভিনয় ও মডেলিংয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। তবে একটা সময় বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। অসুস্থতার কারণে শারীরিক স্থূলতা এবং নেটিজেনদের নানান মন্তব্যে ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে পড়েছিলেন দীঘি।

কিন্তু শত আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও দমে যাননি অভিনেত্রী। ধীরে ধীরে সব কাটিয়ে উঠেছেন। শুধু তাই নয়, ওজন কমিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলেছেন নিজেকে। তবে বডি শেমিংয়ের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা যেন আজও মনে রয়ে গেছে তার। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন দীঘি।

দীঘি বলেন, যে মানুষটির বডি শেমিং আরেকটি মানুষ করছে, আদৌও সে মানুষটি বডি শেমিং নিয়ে কতটা সিরিয়াস, কিংবা সে কীভাবে এটিকে গ্রহণ করছে- সেসব চিন্তা না করেই তো বলে ফেলি। হতে পারে সে বডি শেমিংটা নিয়ে ফ্রাস্ট্রেটেড কিংবা ট্রমাটাইজড।

তিনি আরও বলেন, একটা সময় ভীষণ ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, এত এত কথা শুনতাম, এতে একের পর এক চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হতো। রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়ি আমি। তখন ডায়েট হচ্ছে না, জিমও হচ্ছে না; আবার মোটা হয়ে গেলাম। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতেই হবে, তখন আবার হলো কোভিড।

অভিনেত্রী বলেন, এমনকি সুস্থ হতে আমাকে অসম্ভব হাই-পাওয়ারের ওষুধ দেওয়া হলো, যেটাতে স্টেরয়েড থাকে। ওটা শরীরে যাওয়ায় এতটা লেভেলে ফুলে গেলাম, আমার নিজেরই মনে হচ্ছিল কী একটা হয়ে গেছি আমি। আমার বডি অনেক ভারী হয়ে গেল এবং দুর্বলও হয়ে গেলাম।

আমি যে একটু না খেয়ে থাকব, সেটা কোনোভাবেই আমার পক্ষে সম্ভবই হয়ে উঠছিল না। তখন আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। স্টেরয়েডের জন্য যেটা হয়, কিছুতেই শুকানো যায় না। একটা বছরের মতো ভুগতে হয়েছে, প্রচুর কষ্ট হয়েছে শুকাতে। তখনই মনে হয়েছে আমি মনে হয় আর পারব না।

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন