Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি নতুন ভোটাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগরের সাধারণ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ কাদের। ভোটার হওয়ার পর এবারই প্রথম ভোট দিয়েছেন। আর প্রথমবারেই ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি কাদের।

সোমবার (১২ জুন) বেলা ১১টার দিকে নগরীর ১৭ নং ওয়ার্ডের খুলনা কলেজিয়েট স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেন নতুন এই ভোটার।

শুধু কাদের নয় ইভিএমে ভোট দিয়ে খুশি নতুন ভোটাররা। এবারের খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৪২ হাজার ৪৩৫ জন নতুন ভোটার হয়েছে।

এর আগে সোমবার সকাল থেকে অন্যান্য ভোটারদের সাথে ভোট প্রদান শুরু করেন তরুণ ভোটাররা।

নতুন ভোটার সজিব বলেন, এবারই প্রথম ইভিএমে ভোট দিলাম। খুব সহজেই ভোট দিতে পেরেছি। আগে বাড়ির মুরুব্বিরা ভোট দিত আমরা শুধু দেখতাম, এবার নিজেই ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

সাব্বির নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বন্ধুরা মিলে ইভিএম এ ভোট দিতে এসেছি। ভোট দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে।

রফিকুল ইসলাম নামে এক নতুন ভোটার বলেন, ইভিএমে যে এত সহজে ভোট দেওয়া যায় তা আগে জানতাম না। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ভালো লাগছে।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের নির্বাচনের মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা), জাতীয় পার্টির এস এম শফিকুল ইসলাম মধু (লাঙল), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আব্দুল আউয়াল (হাতপাখা), স্বতন্ত্রপ্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি) ও জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন (গোলাপ ফুল)।

৩১টি ওয়ার্ডের ২৮৯টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৭৩২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ চলছে। ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২ জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে টহল দিচ্ছে বিজিবির ১১ প্লাটুন সদস্য। নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্র ও নগরীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছেন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আনসারসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় ৮ হাজার ৩০০ জন সদস্য। নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন ৪৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

ভোট কেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ২ হাজার ৩০০টি ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। ইভিএম মেশিন প্রয়োজন হচ্ছে প্রায় ৩ হাজার। পর্যবেক্ষক থাকবেন বেসরকারি দুটি সংস্থার ২০ জন ও নির্বাচন কমিশনের ১০ জন।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন