Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বুধবার । ৩০শে জুলাই, ২০২৫ । ১৫ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

পাইকগাছায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের উদ্বোধন ২০২৬ সালের জুনে

আল মামুন, খু‌বি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে পাইকগাছা কৃষি কলেজের বাস্তবায়ন দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৮০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এটি ২০২৬ সালের জুন মাসে উদ্বোধ‌নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা দেশের কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল ক‌রিম খুলনা গেজেটকে জানান, সরকার পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবে বাস্তবায়নের সুস্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছে। ২৫ একর জমির ওপর নির্মিত এই ক্যাম্পাসে একটি সুসজ্জিত একাডেমিক ভবন, একটি ছাত্রাবাস, একটি ছাত্রীনিবাস, খেলার মাঠ, মসজিদ, শিক্ষকদের ডরমেটরি এবং প্রশাসনিক ভবন ও শহিদ মিনারসহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।

উপাচার্য আরও উল্লেখ করেন, ইতোমধ্যে জমির নামজারি ও খাজনা জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকূলে সম্পন্ন হয়েছে।

এই নতুন ক্যাম্পাসে ৪টি ডিপার্টমেন্ট খোলার প্রস্তাব করা হয়েছে: এগ্রিকালচারাল, ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট্রি ও টেকসই বন ব্যবস্থাপনা এবং মেরিন ফিসারিজ। এটি দেশে প্রতি বছর ১৫ হাজার কৃষি ডিপ্লোমা সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের জন্য সরকারিভাবে বিএসসি কোর্স এবং অন্যান্য সার্টিফিকেট কোর্স চালুর মাধ্যমে একটি বহুমুখী শিক্ষা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো, কৃষি ও ফিসারিজের সাথে জড়িতদের জন্য উন্নত ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ সৃষ্টি করা, যা বর্তমানে অনেকের কাছে অপ্রাপ্য হয়ে দাঁড়ায়।

উপাচার্য আরও জানান, মূল ক্যাম্পাসে যারা পড়াশোনা করছেন তারা ইন্টারমিডিয়েট পাস করে ভর্তি হন,কিন্তু পাইকগাছা ক্যাম্পাসে ডিপ্লোমা পাস করা শিক্ষার্থীরা ভর্তি হবেন, তবে তাদের ডিগ্রীর মান প্রায় একই রকম হবে।

তিনি এই উদ্যোগ সম্পর্কে গুরুত্ব প্রকাশ করে আরও বলেন, পাইকগাছা এলাকাটি উপকূলীয় অঞ্চলের একটি সম্পদশালী এলাকা। এই ক্যাম্পাসের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীও শিক্ষা ও গবেষণার উন্নত সুযোগ পাবে বলে আশা করছি। এটি বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকারি পরিকল্পনা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচেষ্টার কমতি থাকবে না। উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় এখানে পানির লবণাক্ততার সমস্যা রয়েছে, আমরা লক্ষ্য করেছি। আমরা সেই সমস্যা সমাধানেও কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের পানি ফিল্টারিং প্রসেস ও যেনো শিক্ষার্থীরা নির্বিঘ্নে পড়াশোনা করতে পারে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

সর্বোপরি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, এই ক্যাম্পাস উপকূলীয় অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

উল্লেখ্য, পূর্বের এক সিদ্ধান্তে পাইকগাছা কৃষি কলেজকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে একটি ইনস্টিটিউটে রূপান্তরের পরিকল্পনা থাকলেও, এখন এটি দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হিসেবেই বিবেচিত হবে। পাইকগাছা কৃষি কলেজের প্রশাসনিক সংযুক্তি ও একাডেমিক অধিভুক্তি সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিলো।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল পূর্বে কলেজটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন