চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় দুই পলাতক আসামির বিরুদ্ধে জারি করা হুলিয়া ও ক্রোকি পরোয়ানা আদালতে ফেরত না আসায় পুনরায় জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর ছিদ্দিক এ আদেশ দেন।

পলাতক দুই আসামি হলেন- শুভ কান্তি দাস ও সুকান্ত দত্ত।

আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী বলেন, মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৩৯ আসামির মধ্যে ২১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, আর ১৮ জন এখনো পলাতক। পলাতক ১৮ জনের মধ্যে ১৬ জনের হুলিয়া ও ক্রোকী পরোয়ানা আদালতে ফেরত এসেছে। কিন্তু শুভ কান্তি দাস ও সুকান্ত দত্তের বিরুদ্ধে জারি করা পরোয়ানা ফেরত আসেনি। তাই আদালত নতুন করে পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন।

চার্জশিটে চন্দন দাশ মেথর, রিপন দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য, শুভ কান্তি দাস, আমান দাশ, বুঞ্জা, রনব, বিধান, বিকাশ, রমিত প্রকাশ দাস, রুমিত দাস, নয়ন দাস, ওমকার দাস, বিশাল, লালা দাস, সামীর, সোহেল দাস, শিব কুমার, বিগলাল, পরাশ, গণেশ, ওম দাস, পপি, অজয়, দেবী চরণ, দেব, জয়, লালা মেথর, দুর্লভ দাস, সুমিত দাস, সনু দাস, সকু দাস, ভাজন, আশিক, শাহিত, শিবা দাস ও দ্বীপ দাসসহ মোট ৩৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আইনজীবী আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় ৩১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

২০২৫ সালের ১ জুন মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা, কোতোয়ালী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তদন্তে এজাহারনামীয় তিনজন- গগন দাস, বিশাল দাস ও রাজকাপুর মেথরের সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়। তবে, নতুন করে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় তাদের চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

গত ২৫ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত চার্জশিটের গ্রহণযোগ্যতা শুনানি শেষে ৩৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেন।