তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। বিমানবন্দরে নামার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত বৈঠক করেন তিনি।
এসময় শুক্রবারের (২১ নভেম্বর) ভূমিকম্পে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে জানতে চান এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় ড্রুকএয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় লাল গালিচায় সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে দুই নেতার মধ্যে সংক্ষিপ্ত বৈঠক হয়। এ সময় তোবগে ভূমিকম্পে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির বিষয়ে জানতে চান এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। বৈঠক শেষে তোবগেকে ১৯ বন্দুক স্যালুট এবং গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে রওনা হন। তিনি স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন এবং স্মারক বইতে স্বাক্ষর করবেন।
জানা গেছে, দুপুরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ভুটানের এই নেতার সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর বিকেল ৩টার দিকে তেজগাঁওয়ের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একান্ত বৈঠক হবে। সন্ধ্যায় আয়োজিত এক সরকারি নৈশভোজেও যোগ দেবেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী।
খুলনা গেজেট/এনএম

