লাল ফিতার দৌরত্ব-অর্থ সংকটসহ নানা জটিলতার পরও অন্তর্বর্তী সরকার পে কমিশনের একটা কাঠামো তৈরি করে যাবে। যার সিদ্ধান্ত নিবে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার। এমন মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ। বুধবার (১২ নভেম্বর) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব বিষয় জানান তিনি।
সরকারি কর্মচারিদের নতুন বেতন কাঠোমে নির্ধারণে গেল ২৭ জুলাই পে-কমিশন গঠন করে সরকার। এরইমধ্যে জমা পড়েছে প্রতিবেদনও। তবে নানা জটিলতায় পে-স্কেল নিয়ে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারের অর্থ সংকট তুলে ধরে যা আবারও স্পষ্ট করলেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, সরকারি কর্মচারীদের অসন্তোষ বা ক্ষোভের কিছু নেই। কেননা, পে কমিশনের সুপারিশ পাবার রয়েছে সচিব বৈঠকের বিশ্লেষণ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনসহ কয়েক ধাপের পদ্ধতিগত জটিলতা। আমরা পুরাপুরি একটা সেটআপ, ‘রিপোর্টটা পাওয়ার পর মোটামুটি একটা ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে যাব। কারণ, আমরা সেই সময়ের মধ্যে যদি এটা রিকনসাল করতে পারি, করব। এখানে সবচেয়ে বড় হলো অর্থের সংস্থান।’
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিনটা বিশেষ ধরনের পে-স্কেল আছে, এটা রিকনসাল করবে। অতএব ওরা একটু ধৈর্য ধরুক। অর্থের সংস্থান আছে, এখন যদি মনে করে যে যেই পে-স্কেল আছে সেই পে-স্কেল যদি আমরা বলে দেই ওটাই থাকবে, তাহলে চিন্তার কোনো কারণ নেই। এখানে বাজেটের ব্যাপার আছে তো। অন্যান্য সেক্টর আছে তো, আমাদের বাজেটে। পে-স্কেল ছাড়াও তো আমরা স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে অন্যান্য উন্নয়ন ব্যয় আছে সেগুলো তো আমার দেখতে হবে।’
এদিনের ক্রয় কমিটির সভায়, বিভিন্ন বন্দর ও জেটিতে আটকে থাকা পুরোনো গাড়ি ভাঙারি বা স্ক্র্যাব আকারে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার। আর, নির্বাচনে দায়িত্বরত পুলিশের জন্য বডি ক্যামেরা কেনার ব্যাপারে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা।
বাজারে পণ্যের যোগান ঠিক রাখতে রোজার আগে চিনি ও সয়াবিন তেল কেনার সিদ্ধান্তের কথাও জানান অর্থ উপদেষ্টা।
খুলনা গেজেট/এএজে

