গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) আন্তঃবিভাগীয় ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল (৭ নভেম্বর) শুক্রবার বিকালে লোক প্রশাসন বিভাগ ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের মধ্যকার খেলায় লোক প্রশাসন বিভাগ পরাজিত হলে রেফারিকে মারধর করে এবং শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, খেলা শেষে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা রেফারিকে মারধর করে এবং আইন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক ড. রাজিউর রহমানকে লাঞ্ছিত করে। এতে রেফারি আহত হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা, সেন্ট্রাল ফুটবল টিম ভলিন্টিয়ার সদস্যদের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্সের ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এসময় লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা চেয়ার নিয়ে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী এবং সেন্ট্রাল ফুটবল টিমের সদস্য সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় সেন্ট্রাল ফুটবল টিমের স্কোয়াড সদস্যরা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই প্রতিটি ম্যাচে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ভলিন্টিয়ারের কাজ করে যাচ্ছে। দর্শক বা খেলোয়াড়রা যাতে কোনপ্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমরা (ভলিন্টিয়ার সদস্যরা) এখন পর্যন্ত হওয়া সব ম্যাচেই শৃঙ্খলা রক্ষার কাজটি করে আসছি।”
তিনি আরো বলেন, “লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা খেলা শেষে রেফারিকে মারধর করলে আমরা রেফারিকে নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে অ্যাম্বুলেন্সে তুলে দিই। পরবর্তীতে লোক প্রশাসন বিভাগ এবং অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া সংঘর্ষ থামাতে গেলে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা আমাদের কয়েকজন ভলিন্টিয়ার সদস্যকে মারধর করে।”
এ বিষয়ে সহকারী ক্রীড়া পরিচালক বাবুল মন্ডল বলেন,” এখনো তো কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি, অফিস তো বন্ধ। আমরা যারা কমিটিতে আছি তারা এখন সবাই বাহিরে। অফিস খুললে, আপনারা আপডেট জানতে পারবেন।”
এ হামলার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “ক্যাম্পাস তো বন্ধ, ক্যাম্পাসে সকলের আসতে হবে। ক্যাম্পাস খুলক, তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম

