বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

‘খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতার জন্য দায়ী ইউপিডিএফ’

গেজেট প্রতিবেদন

খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাসান মাহমুদ খাগড়াছড়ি এবং গুইমারায় সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংস ঘটনার জন্য আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফকে দায়ী করেছেন। তিনি মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা বলেন।

ব্রি. জে. হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্ষণ ঘটনাকে পুঁজি করে সাধারণ পাহাড়ি নারী ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সামনে দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে সংগঠনটি। এসব কর্মসূচিতে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে দেশীয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে ফায়ারিং করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব ও অবিচ্ছেদ্য অংশ রক্ষায় সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে। তিনি ইউপিডিএফ-কে দেশের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানান। জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে এ সময় তিনি অবরোধ প্রত্যাহার করারও আহ্বান জানান।

এই সেনা কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানান, অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি ঘটনার জের ধরে রাঙামাটি ও বান্দরবানেও এর প্রভাব পড়ার আশঙ্কাও ব্যক্ত করেন তিনি।

বহিঃশক্তি বা এখনকার একটি মহল পেছন থেকে সাহায্য করছে উল্লেখ করে ব্রি. জে. হাসান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার দিকে যাচ্ছে (জাতীয় সংসদ নির্বাচন) এটাকে নস্যাৎ করতে পারে সে ধরনের ঘটনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। অতিস্থিতিশীল করে এ ব্যাপারটি বা এলাকাটিকে যদি দেখানো যায় বাংলাদেশে এখন স্থিতিশীল পরিবেশ নাই, তাহলে এটা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে। তিনি সবাইকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য এক সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত, গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি সদরে এক স্কুলছাত্রী ‘ধর্ষণের’ অভিযোগের জেরে ২৭ ও ২৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় সহিংসতায় তিনজন নিহত হন। সেনাবাহিনীর ১৩ জনসহ ২৫ জন আহত হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন