Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
সোমবার । ২৫শে আগস্ট, ২০২৫ । ১০ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি

রুমিন ফারহানার অনুসারী ও এনসিপির নেতাকর্মীদের হাতাহাতি

গেজেট ডেস্ক

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবি-আপত্তি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানি চলাকালে হট্টগোল ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শুনানি চলাকালে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার অনুসারী ও এনসিপির নেতাকর্মীদের মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সভাপতিত্বে শুনানি শুরু হয়।

জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের খসড়া প্রকাশের পর পক্ষে ও বিপক্ষে আবেদন জমা পড়ে। আজকের শুনানির একপর্যায়ে দুই পক্ষ উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং মারামারি শুরু করে। ইসি কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে ইসি সচিব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের জন্য শুনানি শেষ করেন এবং উভয়পক্ষকে শুনানি কক্ষ ত্যাগ করার অনুরোধ জানান।

শুনানি শেষে সংঘর্ষ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুমিন ফারহানাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, একজন অপরিচিত ব্যক্তি আমাকে ধাক্কা দেন। আমি তো একজন নারী, স্বাভাবিকভাবেই আমার লোকজন চুপ করে থাকবে না। পরে ওই ব্যক্তি আবার তেড়ে আসেন, ফলে আমার অনুসারীরা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এনসিপি নেতারা বহিরাগত লোকজন নিয়ে কমিশনে এসেছিলেন। তার ভাষায়, তারা ধাক্কা দিয়েছে, ফলে ধাক্কার জবাবও এসেছে। এর বাইরে আর কিছু হয়নি।

অন্যদিকে এনসিপি অভিযোগ করেছে, তাদের সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহকে রুমিন ফারহানার উপস্থিতিতে তার অনুসারীরা মারধর করেছেন।

এ সময় এনসিপির আরও দুই নেতা- প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী ও মুস্তফা সুমনও আহত হন বলে দাবি করেছে দলটি।

এনসিপি নেতা প্রকৌশলী আমিনুল হক চৌধুরী দাবি করেন, আমরা ইসিতে দাবি জানাতে গিয়েছিলাম। কিন্তু রুমিন ফারহানার লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সামনেই আমাদের পেটানো হয়েছে।

এর আগে শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ইসির প্রকাশিত খসড়ার পক্ষে তার যুক্তি তুলে ধরেন। আর অন্যান্য বেশ কয়েকজন খসড়ার বিপক্ষে তাদের অবস্থান তুলে ধরেন।

খসড়ার বিপক্ষে থাকা শুনানিতে অংশ নেওয়ারা বলেন, বিজয়নগর উপজেলা থেকে তিনটি ইউনিয়ন (বুধস্তি, চান্দুয়া ও হরষপুর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে যুক্ত করা হয়েছে। আমরা আমাদের উপজেলা অখণ্ড চাই। এ সময় নির্বাচন ভবনের বাইরেও হট্টগোল হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সদস্যরা বিক্ষোভকারী একটি দলকে গেটের সামনে থেকে সরিয়ে দেন। নির্বাচন ভবনের সামনে জলকামানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

শুনানির শুরুতে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি- আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন।

জানা গেছে, প্রথমদিনে কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তিগুলোর শুনানি গ্রহণ করবে ইসি। ইসির প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত সূচি অনুযায়ী রোববার দুপুর ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫; আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১; সাড়ে তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫, চাঁদপুর-২ ও ৩, ফেনী-৩, লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের শুনানি হবে। বুধবার পর্যন্ত শুনানি চলবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন