Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শনিবার । ২৩শে আগস্ট, ২০২৫ । ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content
আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দীর্ঘদিনের অচলাবস্থার পর বাংলাদেশ–পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন গতি

গেজেট ডেস্ক


দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক নিষ্ক্রিয়তার পর আবারও সখ্যতার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগ, বাণিজ্যিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক বিনিময় দুই দেশের সম্পর্কের জটিলতা কিছুটা হলেও হ্রাস করেছে।

উচ্চপর্যায়ের সফর

বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান। তার সফর শেষ হওয়ার আগেই আসছেন দেশটির উপ–প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। আগামী শনিবার (২৩ আগস্ট) তিনি ঢাকায় পৌঁছাবেন এবং দুই দিনের সফরে অন্তত ৬–৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

১৫ বছর পর পূর্ণাঙ্গ বৈঠক

প্রায় দেড় দশক পর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে যাচ্ছে। ২৪ আগস্ট ঢাকায় এ বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

আলোচনার বিষয়

সূত্র জানায়, বৈঠকে বাণিজ্য, সংযোগ উন্নয়ন, জঙ্গিবাদ দমন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক রাজনৈতিক ইস্যু, সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার প্রস্তাবসহ নানা বিষয় আলোচনায় আসবে। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যুগুলো—গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আনুষ্ঠানিক ক্ষমা প্রার্থনা, ক্ষতিপূরণ, আটকে থাকা পাকিস্তানিদের প্রত্যাবাসন ইত্যাদি—উত্থাপন করবে বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

সই হতে যাওয়া চুক্তি

চূড়ান্ত হওয়া সমঝোতাগুলোর মধ্যে রয়েছে—

কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতি, সাংস্কৃতিক বিনিময়, ফরেন সার্ভিস একাডেমিগুলোর সহযোগিতা,

যৌথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যকরী গ্রুপ, কৌশলগত গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সমঝোতা, বাসস ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা। এছাড়া কৃষি গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

রাজনৈতিক কর্মসূচি

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সরকারের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ইসহাক দার। এছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

কৌশলগত প্রেক্ষাপট

বিশ্লেষকদের মতে, আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষার অংশ হিসেবে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছে। অন্যদিকে ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে সাম্প্রতিক টানাপোড়েনকে ইসলামাবাদ কৌশলগত সুযোগ হিসেবে দেখছে। পাকিস্তান মনে করছে, এ সময়ই দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের প্রভাবের পাল্টা ভারসাম্য তৈরি করতে বাংলাদেশকে কাছে টানা সম্ভব।

খুলনা গেজেট/এসএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন