ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান, ‘তফশিল ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন, তারা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন।
নির্বাচন কমিশন আগামী মাস থেকে শুরু করে প্রবাসীদের ভোটার এডুকেশনের কাজ শুরু করবে জানিয়ে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা চূড়ান্ত করেছে কমিশন।
তিনি বলেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন প্রবাসী ভোটাররা। প্রবাসী ভোটারদের ভোট দিতে হলে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রবাসী ভোটারদের বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করা হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়াকে এআই ও ড্রোন প্রভাবিত করতে পারবে না উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ভুল তথ্য, মিথ্যা তথ্য এবং বিদ্বেষ ছড়াতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। এআইয়ের অপব্যবহার রোধ করতে আচরণবিধিতে নির্দিষ্ট বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র প্রার্থী ও দলের জন্য প্রযোজ্য হলেও, অন্যান্য পক্ষকেও মোকাবিলা করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী বা তার এজেন্ট ড্রোন বা কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন হলে নিজেরা ড্রোন ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
ভোটের সময় সিসিটিভি ব্যবহার এখনো অনিশ্চিত উল্লেখ করে ইসি সানাউল্লাহ বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। দেশের ৪৫ হাজার কেন্দ্রে সিসিটিভি স্থাপন করা একটি ব্যয়বহুল ও জটিল প্রক্রিয়া। এত সংখ্যক ক্যামেরা কেনা বা ভাড়া করা কঠিন। এ বিষয়ে একটি কমিটি কাজ করছে এবং তারা বিকল্প উপায় খুঁজছে। এর মধ্যে বিদ্যমান সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো ব্যবহার করা বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার মতো প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/এমএম