Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ৭ই আগস্ট, ২০২৫ । ২৩শে শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

দেশের তিন জেলায় সড়কে প্রাণ হারালো ১২ জন

গেজেট ডেস্ক

সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৭ সদস্যসহ তিন জেলায় ১২ জন নিহত হয়েছে । বুধরার (৬ আগস্ট) নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক দুর্ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

একই পরিবারের সাতজন নিহত

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নে মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই তাদের স্বজন ওমান প্রবাসী মো. বাহার উদ্দিনকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন।

দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- ওমান প্রবাসী বাহারের স্ত্রী কবিতা আক্তার (২৪), তার মেয়ে মীম আক্তার (২), মা মুরশিদা বেগম (৫০), নানী ফয়জুন নেছা (৭০), ভাতিজি রেশমা আক্তার (৯) ও লামিয়া আক্তার (৮) এবং বড় ভাইয়ের স্ত্রী লাবনী আক্তার (২৫)। তারা সবাই লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের চৌপল্লী এলাকার কাশারি বাড়ির বাসিন্দা।

জানা গেছে, একটি প্রাইভেটকার ও একটি হায়েস মাইক্রোবাসে করে ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের দিকে ফিরছিলেন ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিনের পরিবারের ১০-১২ জন সদস্য। পথে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজন নিহত হন।

স্থানীয়রা জানান, ভোর রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তখন স্থানীয় লোকজন কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। পরে ভোরের আলো ফুটে উঠলে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেন।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত দুটি মরদেহ পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাকিদের মরদেহও আসছে বলে শুনছি। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিটন দেওয়ান বলেন, রেকারের সাহায্যে দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি খাল থেকে তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আর কোনো মরদেহ নেই। ওমান প্রবাসী বাহার উদ্দিন বেঁচে আছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।

সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ৩

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার  দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা খুশী (১৭), সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তী (১৮) এবং সুনামগঞ্জ শহরের আলীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম (৫০)।

এ দুর্ঘটনায় আরও দুইজন আহত হয়েছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ জেলা ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মোহাম্মদ হানিফ মিয়া  বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

বউভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় কনের বাবাসহ নিহত ২

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বউভাত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে ডাম্প ট্রাকের সঙ্গে অটোরিকশার সংঘর্ষে কনের বাবাসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন।  বিকেল পৌনে ৩টার দিকে জেলার গফরগাঁও টু হোসেনপুর সড়কের নূর মসজিদ এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- উপজেলার সালটিয়া ইউনিয়নের হাটুরিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মুঞ্জু মিয়া (৪০) ও যশরা ইউনিয়নের যশরা গ্রামের ওয়াহেদুল্লার ছেলে আলাউদ্দিন (৬০)। তারা মেয়ের বাড়ির পক্ষ হয়ে বউভাত অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। এতে অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হন এবং অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুছড়ে যায়। আহত দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

গফরগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার বলেন, আহতদের মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। অপর দুইজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

গফরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাচ্চু মিয়া বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা গেজেট/আনোয়ার/এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন