শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

পিরোজপুরে আয়ের উৎস হিসেবে স্বপ্ন দেখাচ্ছে কচুরিপানা

মোঃ শাহিন ফকির, পিরোজপুর

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার স্থানীয়দের কাছে এক সময়ের অযত্নের কচুরিপানাই স্বপ্ন দেখাচ্ছে আয়ের উৎস হিসেবে।

সম্প্রতি অযত্ন আর অবহেলায় বেড়ে ওঠা কচুরিপানাই জাগালো অর্থের সম্ভাবনা। সময়ের ব্যবধানে এর ব্যবহার ও সহজলভ্যতার কারণে রপ্তানিযোগ্য পণ্য তৈরির কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বহু দেশে। রঙিন পাপোশ, রকমারি ফুলদানি, দৃষ্টিনন্দন ফুলঝুড়ি, আর বিভিন্ন রঙের পাটি তৈরির কাঁচামাল এ কচুরিপানা। ব্যাগ, টুপি আর সুন্দর সব জায়নামাজও তৈরি হয় এর থেকে। এই জিনিসগুলো অধিকাংশই পরিবেশবান্ধব ও প্লাস্টিক সামগ্রীর বিকল্প হিসেবে বিবেচ্য। ফলে দেশে-বিদেশে এর চাহিদা অনেক।

এর সুবাদে নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের ফেলে দেওয়া কচুরিপানায় শত শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। কচুরিপানা এখন যোগান দিচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার। কচুরিপানা থেকে তৈরি হওয়া কুটির শিল্প বিদেশে রপ্তানি করে আয় হচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

কচুরিপানাকে আয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছেন তারা। শুকনো কচুরিপানা বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে। প্রথমে জলাশয় থেকে ১৮ ইঞ্চি মাপের কচুরিপানা সংগ্রহ করা হয়, পরে সেগুলো কেটে তিন থেকে চার দিন রোদে শুকানো হয়। এরপর ওজন দিয়ে সেগুলো বিক্রি করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, মাঘ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত ভরা মৌসুম থাকলেও এর সংগ্রহ চলে সারা বছর জুড়ে। এছাড়াও দেখা যায় গ্রামীণ সরু সড়কের পাশেই কাঁচা কচুরিপানা শুকানোর কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা।

স্কুলছাত্র সাকিব বলেন, বাবা মায়ের কাজে সহযোগিতা করার জন্য স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে পড়াশুনার পরে অবসর সময়টাকে কাজে লাগাতে প্রথমে কাজটা শিখে এখন দৈনিক একশ থেকে দুইশ টাকা আয় করতে পারছি।

কয়েকজন উদ্যোক্তা বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ থাকায় এ ব্যবসার সমৃদ্ধির বড় সংকট। তাই স্থানীয়দের দাবি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটলে এ ব্যবসার সমৃদ্ধি ঘটবে। আর এ ব্যবসা জাতীয় পর্যায়ের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন