প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে”।
তিনি আজ ১৩টি রাজনৈতিক দল ও জোটের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এমন মন্তব্য করেছেন বলে তার প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
“জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছরে আমাদের আয়োজন ছিল সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে অতীতকে স্মরণ করা, সেজন্য কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলাম। এতে করে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিজেদের মধ্যে ঐক্যটা দৃশ্যমান হতো। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই পরাজিত শক্তির নানা ষড়যন্ত্রের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে,” বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, “মতপার্থক্য, প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যকে আরও দৃশ্যমান করা দরকার। তা না হলে তারা এটাকে সুযোগ মনে করছে”।
প্রেস উইংয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে ‘ফ্যাসিবাদের’ বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও গণঐক্য অটুট রাখার বিষয়ে অংশগ্রহণকারী সকল দল সমর্থন জানিয়েছে।
“তারা আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান। নেতৃবৃন্দ সংস্কার, বিচার ও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে ও ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে আরও নিয়মিত ভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে সর্বদলীয় সভা আয়োজনের অনুরোধ জানান,” বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
১৩ দলের সাথে এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সৈয়দ হাসিবউদ্দিন হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মন্জু, নাগরিক ঐক্যের শহীদুল্লাহ কায়সার, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, খেলাফত মজলিসের ড. আহমদ আবদুল কাদের, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির তানিয়া রব, ১২ দলীয় জোটের শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাসদের জলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণফোরামের সেক্রেটারি ডা. মিজানুর রহমান।
এর আগে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে চারটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। দলগুলো হলো— বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
খুলনা গেজেট/এএজে