প্রতিষেধক নেওয়ার পর যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয় আমাদের শরীরে, তা ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে অন্তত ৮ গুণ কম কার্যকর, জানাচ্ছে হালের গবেষণা। চিনের উহানের প্রথম যে করোনাভাইরাস প্রজাতির খোঁজ মিলেছিল, তার তুলনায় ডেল্টা প্রজাতি বিরুদ্ধে কম কাজ দিচ্ছে এখনকার প্রতিষেধকগুলি।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে ডেল্টা প্রজাতি অনেক দ্রুত গতিতে ছড়ায় অন্য কোনও প্রজাতির তুলনায়। করোনামুক্তদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধশক্তিও দ্রুত ভেঙে দিতে পারে ডেল্টা প্রজাতি।
দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালের তরফে করা এই গবেষণা কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ‘থেরাপিউটিক ইমিউনোলজি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজেস’ যৌথ ভাবে হাত মিলিয়েছিল। ১০০ জনের বেশি স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছিল এই গবেষণায়।
দু’টি টিকা নেওয়ার পরও যে স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড সংক্রমণ হয়, তাঁদের মধ্যে ডেল্টা প্রজাতির প্রমাণই বেশি মিলেছে। ফুসফুসের ভাইরাসের ‘লোড’এ বেশি মিলিছে ডেল্টা প্রজাতির ক্ষেত্রে। টিকাকরণ হয়ে যাওয়ার পরও দেখা যাচ্ছে ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ অনেক দ্রুত ছড়িয়েছে এই স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে।
যদিও প্রতিষেধক নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে কোভিডের প্রভাব খুব গুরুতর হয়নি, তা-ও হাসপাতাল চত্বরে ‘ব্রেকথ্রু’ (টিকাকরণের পরও যাঁরা কোভিড-আক্রান্ত) সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছে গবেষকেরা।
এই গবেষণাপত্রের এখনও ‘পিয়ার রিভিউ’ হয়নি। এতে জানা গিয়েছে ডেল্টার প্রজাতির স্পাইক প্রোটিন আরও শক্তিশালী হওয়ায় ফুসেফুসের বাইরের ঘিরে থাকা কোষগুলির বাঁধন অনেক বেশি ভেঙে দিতে সক্ষম এই প্রজাতি।
গবেষণায় বলা হয়েছে, ‘‘যে করোনামুক্তদের ফের কোভিড সংক্রমণ হচ্ছে এবং যে দ্রুত গতিতে ডেল্টা বেশি সংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারছে, তার মিলিত কারণে ডেল্টা প্রজাতির এত বাড়বাড়ন্ত।” সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা।
খুলনা গেজেট/এনএম