খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধ কিনে মজুদ করছে মানুষ

যশোরের বাজার থেকে নাপা উধাও

যশোর প্রতিনিধি

যশোরের বাজার থেকে হঠাৎ করে উধাও হয়ে গেছে নাপা নামের সব ধরনের ট্যবলেট। বেক্সিমকো কোম্পানির নাপা, নাপা এক্সট্রা, এক্সটেন্ড ও সিরাপ গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে রোগীরা জানিয়েছে। এছাড়া, যশোরে করোনার ভয়াবহ প্রকোপে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদাও ব্যাপকহারে বেড়েছে।

যশোর শহরের জেনারেল হাসপাতাল মোড়, বঙ্গবাজার, মাইকপট্টি, রেলরোড, উপশহরসহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও এ ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি। যশোরে করোনা শনাক্তের হার কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ও লকডাউনের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো জ্বর-সর্দি ও কাশির ওষুধ কিনে মজুদ করছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে যশোরে নাপা সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ওষুধের পাইকারি বিক্রয়স্থল শহরের বঙ্গবাজারে দেখা যায়, নাপা নামে কোন ওষুধ নেই। তবে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ রয়েছে। নাপার প্রতি এতো চাহিদা কেনো জানতে চাইলে একজন ব্যবসায়ী বলেন, অনলাইনে করোনার জরুরি ওষুধের মধ্যে নাপার নাম রয়েছে। এ কারণে নাপা মানুষ ব্যাপকহারে কিনে মজুদ করেছেন।

বঙ্গবাজারের চাকলাদার ফার্মেসি, মায়া, আইডিয়া, ঔষধ বিতান, বিসমিল্লাহ, মাইকপট্টির জামান, ও অর্ণব ফার্মেসিতে নাপা, নাপা এক্সট্রা ও নাপা এক্সট্রেন্ড আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে সব দোকানিই বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নাপা নেই। কোম্পানি সাপ্লাই দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তারা। অন্যান্য কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দোকানে রয়েছে বলে জানান। তবে প্যারাসিটামল জাতীয় অন্যান্য ওষুধ বাজারে থাকলেও শুধু নাপা কিনতে ক্রেতারা এতো ভিড় করছেন কোনো তার কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না ফার্মেসি মালিকরা।

বঙ্গবাজারের একজন ফার্মেসি মালিক বলেন, নাপা ও এন্টিবায়েটিক জাতীয় ওষুধ জিম্যাক্সের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। অথচ সাধারণ জ্বরে এন্টিবায়েটিক ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। বর্তমানে করোনার মধ্যে সবাই নিজেদের মত ওষুধ খাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বেক্সিমো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি প্রণয় দাস বলেন, শুধু যশোরে নয়, গত ১০ দিন ধরে দেশের সব জেলায় নাপার সরবরাহ কম রয়েছে। কোম্পানির কাছে নাপার কাঁচামালের সরবরাহ কম থাকার কারণে ও ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এমন সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানান তিনি।

যশোর জেলা কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি আব্দুস শহীদ চাকলাদার পান্নু বলেন, বর্তমানে করোনা নিরাময়কারী ওষুধের চাহিদা বেড়েছে। তবে বেক্সিমো কোম্পানির প্যারাসিটামল বাদে অন্যান্য কোম্পানির প্যারাসিটামলসহ সব ধরণের ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!