বাগেরহাটে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকেই পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সড়ক ও মহাসড়কে টহল শুরু করেছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ, ফকিরহাট-মোল্লাহাট ও সদরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর পৃথক পৃথক টিম টহল দিচ্ছেন। যাতে বিনা প্রয়োজনে কোনো মানুষ ঘরের বাইরে না আসেন। এছাড়া যারা জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে আসছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতেও কাজ করছে সেনা সদস্যরা।
এছাড়া বাগেরহাট জেলার গুরুত্বপূর্ণ ১৩টি পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট রয়েছে। রোগী এবং জরুরি কাজে ব্যবহৃত পরিবহন ছাড়া অন্য কোন পরিবহন চলতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে।
এদিকে মোংলায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মানুষকে ঘরে রাখতে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা টহল জোরদার করেছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও লকডাউন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে দুইজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা পৌরশহরের বিভিন্ন রাস্তায় টহল দিচ্ছে দুই প্লাটুন নৌবাহিনীর সদস্য, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। জরুরি পণ্য ও হাসপাতাল ব্যতিত বন্ধ রয়েছে শহরের দোকানপাঠ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শপিংমল। রাস্তা ঘাটে কোন প্রকারের যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমলেশ মজুমদার জানান, প্রয়োজন ছাড়া যেন কেউ ঘর থেকে না বের হয় সেজন্য উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। এর আগে গত ৩০ মে থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কঠোর বিধি নিষেধ চলমান ছিলো মোংলায়।
এদিকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত সকল বাণিজ্যিক হাজারে পণ্য খালাস স্বাভাবিক রাখা হবে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে মানুষকে ঘরে রাখতে ও সুস্থ রাখতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এনএম