খুলনার ডুমুরিয়ায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গড়ে উঠেছে অনেক গরুর খামার। এ উপজেলার খামারীরা গবাদিপশু মোটাতাজা করার লক্ষ্যে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে এ উপজেলার হাট বাজার গুলোতে মাংসের চাহিদা তুলনামুলকভাবে কম। চলতি বছরে ঈদুল আযহায় করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গরু হাটে বিক্রি করা ও বাজার দাম নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে এখানকার খামারীরা।
জানা গেছে, ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে এ উপজেলায় ছোট বড় অসংখ্য গরু মোটাতাজাকরণ খামার গড়ে উঠেছে। এখন শুধু ঈদুল আযহার অপেক্ষায় দিন গুণছে এলাকার গরু খামারীরা। এখানকার গরু খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
ডুমুরিয়া উপজেলার শিবপুর বাদুরগাছা গ্রামের খামারী মারুফ মোল্লা বলেন, তার খামারে ৮০টি গরু আছে। যার প্রতিটি গরুর মূল্য ৯০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
স্বপন বৈরাগী নামে এক মিষ্টি ব্যবসায়ী বলেন, মিষ্টি ব্যবসার পাশাপাশি তিনি প্রায় ১৫ বছর যাবৎ গরু লালন-পালন করে আসছেন। গত বছরও বেশ কয়েকটি গরু ছিল। যা বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে মোটামুটি টাকা লাভ হয়েছিল। বর্তমানে ৩ টি গরু আছে। করোনার কারণে বাজারে ভাল দাম মিলবে কিনা এই আতঙ্ক মনে সব সময় কাজ করছে।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ মাহমুদা সুলতানা বলেন, খামারীদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ প্রদান করে আসছি। তাদের পালনকৃত গবাদীপশু নিয়ে যে কোন সমস্যায় প্রাণী সম্পদ বিভাগ সব সময় পাশে থাকবে। সুতরাং করোনা পরিস্থিতিতে গরুর দাম এবং হাট বন্ধ হওয়া নিয়ে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
খুলনা গেজেট/এনএম