উপজেলা ব্যাপি চলছে লকডাউনের ২য় দিন। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে ৭ দিনের কঠোর লকডাউন। লকডাউনের ২য় দিনে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ ছিলো। উপজেলার মধ্যে প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকৃত গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে।
উপজেলার অভ্যান্তরে ইজিবাইক ও ব্যাটারী চালিত রিকসা সীমিত ভাবে চলাচল করছে। উপজেলা সদরের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রায় সবই প্রথমদিনে খোলা থাকলেও ২য়দিনে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বেলা ৩টার পর সকল দোকানপাট বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন। প্রথম দিনের চেয়ে ২য়দিনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে লকডাউন কার্যকরে অধিক তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
বেলা ৩টার পর কচুয়া সদরের বাজারের মধ্যের দোকান গুলি বন্ধ রয়েছে। তবে আশপাশের ও গ্রাম পর্যায়ের কিছু কিছু দোকান খোলা রাখতে দেখা গেছে।
উপজেলা সদরের অধিকাংশ চায়ের দোকানসহ প্রায় সব দোকান প্রথমদিনে খোলা রাখতে দেখা গেলেও ২য়দিনে তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।। লকডাউনের প্রথম দিনেই সাধারন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য বিধি মানার অনিহা দেখা গেলেও ২য়দিনে অনেকের মুখে মাস্ক দেখা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেছে এমন চিত্র।
লকডাউন কার্যকরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল সকাল থেকে উপজেলার বেশ কিছু জায়গায় লকডাউন কার্যকরে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তৎপরতা চালিয়েছেন।
এদিকে কচুয়া থানা পুলিশের পক্ষথেকে লকডাউন কার্যকরে বিভিন্ন এলাকায় আজও (শুক্রবার) মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। দোকানপাট ও রিকসা,ভ্যান ও বিভিন্ন ধরনের যানচলাচল বন্ধ রাখতে পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.মনিরুল ইসলাম বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করছে থানা পুলিশ। সেই সাথে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীনাত মহল বলেন, কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচারনা ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে সকলের সহযোগীতা কামনা করেছেন উপজেলা প্রশাসনের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, বাগেরহাট জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ থেকে ৭৩ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করায় বুধবার বিকালে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত জেলা মনিটরিং কমিটির সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জেলা ব্যাপি ৭ দিনের লকডাউন জারি করেন।
খুলনা গেজেট/এমএইচবি